অনুশীলনে কোহালি। ছবি— পিটিআই।
পয়মন্ত মাঠে মধুর স্মৃতি নিয়ে খেলতে নামছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। সেই মাঠেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ছাপিয়ে যাওয়ার হাতছানি ভারতের রান-মেশিনের সামনে।
ইনদওরে টেস্ট মানেই কোহালির ব্যাটে রান। বছর তিনেক আগে এই হোলকার স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন কোহালি। কিউয়ি বোলারদের রীতিমতো শাসন করে ২১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেই টেস্টে ভারত বিশাল, ৩২১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল কিউয়িদের।
বৃহস্পতিবার সেই স্টেডিয়ামেই আবার ফিরছেন কোহালি। টি টোয়েন্টি সিরিজে তিনি ছিলেন না। নাগাড়ে খেলে যাওয়ার জন্য বিশ্রামে ছিলেন ভারত অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেট শুরু হতেই আবার ফিরে এসেছেন তিনি। ইনদওরে আর ১৪৭ রান করলেই কোহালি টপকে যাবেন টেস্ট ক্রিকেটে সৌরভের রান। ১১৩টি টেস্টে মহারাজ করেছিলেন ৭,২১২ রান। ৮২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে কোহালির রান ৭,০৬৬।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ধোনিকে টপকে যাওয়ার হাতছানি ঋদ্ধির সামনে
ইনদওরে বল গড়ানোর আগে সৌরভের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন ভারত অধিনায়ক। ইনদওরেই কি অগ্রজ সৌরভকে ছুঁয়ে ফেলবেন অনুজ কোহালি? ক্রিকেটের কথা কে আর বলতে পারে! এক বলের খেলা এই ক্রিকেট। ফলে উত্তরটা একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না। ইনদওরে না হলে কোহালি পাচ্ছেন ইডেন। অঘটন না ঘটলে এই সিরিজেই হয়তো অন্য ‘সৌরভ’ ছড়াবেন কোহালি।
ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে ঝড়ঝঞ্ঝা কম যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটের উপর দিয়ে। ক্রিকেটাররা ‘বিদ্রোহ’ করে বসেন। বুকির প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগে দু’বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় শাকিব আল হাসানকে। নেতৃত্বের হাত বদল হয়। এই পরিস্থিতিতে টি টোয়েন্টি সিরিজে মরিয়া লড়াই করে বাংলাদেশের ভাঙাচোরা দল। টেস্ট ম্যাচে ‘বাংলার বাঘ’দের গর্জন অব্যাহত থাকে কিনা, তার উত্তর দেবে সময়। তবে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুখ স্মৃতি রয়েছে কোহালির। বছর দু’য়েক আগে হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধেই কোহালি ২৪৬ বলে ২০৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
সেই টেস্ট ভারত জিতেছিল ২০৮ রানে। পরিসংখ্যান তো তাঁর হয়েই কথা বলছে। প্রিয় মাঠ, অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের সামনে কি রানের ফোয়ারা ছোটাবেন কোহালি? প্রথম টেস্ট ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা করে ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘‘বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যান বা বোলারকে হাল্কাভাবে আমরা নিচ্ছি না। ওরা যথেষ্ট দক্ষ দল।’’ বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছে বিশ্বের। খেলায় হার-জিত রয়েছে। কিন্তু, শ্রদ্ধা-সম্ভ্রম অর্জন করে নেওয়াই বলে দিচ্ছে পদ্মাপাড়ের ক্রিকেট আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে।
আরও পড়ুন: মোমিনুলের বাংলাদেশকে হারাতে পেসাররাই বাজি? দেখে নিন ইনদওর টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy