ভাটপাড়ায় আবার বোমাবাজি। ছবি: নিজস্ব চিত্র
দফায় দফায় অশান্তির মধ্যে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাটপাড়া পুরসভা চত্বর। সকাল থেকে চলা বোমাবাজি, রেল অবরোধ মেটার পরেই সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে পুরসভা ভবনে চড়াও হয় এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই সশস্ত্র অবস্থায় ছিল। তারা পুরসভা ভবনের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, পুরভবন চত্বরেই ব্যাপক বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাটপাড়া থানার সঙ্গে যোগ দেয় র্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স। দুষ্কৃতীদের পুরভবনের সামনে থেকে হঠাতে ব্যাপক লাঠি চার্জ করতে হয় র্যাফকে। দুষ্কৃতীরা ভাটপাড়া থানার সামনেও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। পুরভবনের সামনে থেকে দুষ্কৃতীদের লাঠি চার্জ করে সরিয়ে পুরভবনের গেটে তালা দিয়ে দেয় পুলিশ যাতে বাইরে থেকে কোনও দুষ্কৃতী পুরভবনে ঢুকতে না পারে।
এর আগে রবিবার রাত থেকেই ফের অশান্তি মাথাচাড়া দেয় কাকিনাড়া এলাকায়। রবিবার রাত থেকেই স্টেশন সংলগ্ন এলায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। রাতভর তল্লাশির পর পুলিশ কাঁকিনাড়া স্টেশন সংলগ্ন কাটাডাঙা রেল কোয়ার্টার্স থেকে ৬০টি তাজা বোমা এবং বোমা তৈরির মালমশলা উদ্ধার করে। একটি পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টারে ওই বোমা মজুত করা ছিল। পুলিশের দাবি, ওখানেই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির মালমশলা পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-বিরোধী মঞ্চের মুখ মমতাই, ফের চর্চা
বোমা উদ্ধারের পরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাছাড়িপাড়া, ঘোষপাড়া রোড। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া বোমাবাজি করতে শুরু করে ঘোষপাড়া রোডে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বাগে আনা দূরে থাক, তা আরও খারাপ হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সকাল ১০ নাগাদ কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন। প্রায় দু’ঘন্টা বাদে সেই অবরোধ ওঠে। কিন্তু তার পরেই শুরু হয়ে যায় পুরসভার সামনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy