Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কিছু ট্রেন চলছে, বাদ কাঞ্চনকন্যা 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় একে একে চালু হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি। গত রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল।

খোঁজ: এনজেপি স্টেশনে ট্রেনের খোঁজ। নিজস্ব চিত্র

খোঁজ: এনজেপি স্টেশনে ট্রেনের খোঁজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫১
Share: Save:

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় একে একে চালু হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি। গত রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। বুধবার থেকে তা চালু হয়। বুধবার দার্জিলিং মেল চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে শতাব্দী ও গুয়াহাটি-হাওড়া সরাইঘাট এক্সপ্রেস। আজ শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে পদাতিক এক্সপ্রেস, কলকাতা যাওয়ার হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস এবং এনজেপি-দিঘার মতো ট্রেনগুলি। যদিও কলকাতা থেকে হলদিবাড়ি যাওয়ার ট্রেনটি শুক্রবার চলবে না। এ দিনও একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেলকর্তারা জানান, শুক্রবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বেশ কিছু ইন্টারসিটি এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল রয়েছে। সেগুলিও যতটা দ্রুত সম্ভব চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন রেলকর্তারা। তবে ট্রেন চলাচলে ব্যাপক দেরি হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবারও বিহারের বারসই স্টেশন ঘিরে দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভের জেরে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে পরে সেই সমস্যা মিটিয়ে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয় কিসানগঞ্জ-মালদহ রুটে।

শুধু ট্রেন চালু করাই নয়, সেই বিষয়ে যাত্রীদের জানানো নিয়েও রেলের দিক থেকে খামতি আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেমন, বুধবার এনজেপি থেকে দার্জিলিং মেল ছাড়া নিয়ে বিস্তর গোলমাল হয়। বেশিরভাগ যাত্রীই তা জানতে পারেননি বলে দাবি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তাই পরপর ট্রেনগুলি চালু হচ্ছে। তবে এখনও ক্ষতির মেরামতিতে কিছুটা সময় লাগবে। ইন্টারলকিংয়ের কাজ কিছুটা বাকি রয়েছে। তা হয়ে গেলেই বাকি ট্রেনগুলিও চালু হবে।’’

যে রাস্তা দিয়ে অসমের ট্রেনগুলি যাচ্ছে, সেখান দিয়ে মূলত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী ট্রেনগুলির সব ক’টিকে কেন এখনও চালু করা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। যেমন, এই পর্যটনের মরসুমে কলকাতার সঙ্গে ডুয়ার্স সংযোগকারী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এখনও চালু হয়নি। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবারও ট্রেনটি বন্ধ থাকবে। কেন এটা করা হচ্ছে, তার জবাবে শুভানন বলেন, ‘‘একটি ট্রেন চালানোর পিছনে অনেকগুলি মাপকাঠি মেনে চালতে হয়। তাই যে ট্রেনগুলি এখনও বাতিল রয়েছে, তা সুযোগ পেলে দ্রুত চালু হবে। কারণ ট্রেন না চলার ফলে রেলেও ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।’’

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রী ট্রেনগুলি মালদহ টাউন হয়ে চলাচল করবে দক্ষিণবঙ্গের দিকে। বেশ কিছু মালগাড়িও আটকে ছিল ঝামেলার সময়। সেগুলিও চালানো জরুরি। কারণ তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রচুর সামগ্রী আসে। রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় সিগনালের সমস্যা ছাড়াও কুয়াশার জন্য ট্রেন দেরিতে চলছে।

এ দিন দুপুরে নতুন করে এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয় বিহারের বারসই জংশনে। তাতে কিসানগঞ্জ-মালদহ রুটে ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়ে। আপ এবং ডাউনের বেশ কিছু ট্রেন বারসইয়ের আগে বা পরে বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে। সন্ধ্যে পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকে পরিষেবা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, তবে এই বিক্ষোভে আগের মতো রেলের সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal South Bengal Train Service
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE