ছবি এএফপি।
একদিনে করোনা-আক্রান্ত এবং মৃত্যু, পরিসংখ্যানের দুই মাপকাঠিতেই রাজ্যের করোনা সূচক শীর্ষ স্পর্শ করল। এ দিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। দু’টি পরিসংখ্যানই রাজ্যের করোনা তথ্যে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এই পরিস্থিতিতে নমুনা পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজার থেকেও এখন মৃত্যু ঠেকানোর উপরে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর। যার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়েছে। এদিন দুই ক্ষেত্রে পরিদর্শনের পরে কোভিড ম্যানেজমেন্টে একটি অ্যাডভাইজ়রি জারি করা হয়েছে। তাতে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেই স্টেরয়ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা মেনে চলার পাশাপাশি সঙ্কটজনক রোগীরা যে অনেক ক্ষেত্রে আইসিইউ শয্যা পাচ্ছেন না, তা নির্দেশিকায় মেনে নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এইচডিইউ’তেই অক্সিজেন-সহ অন্যান্য চিকিৎসা ঠিক মতো হলে আইসিইউ বেডের সঙ্কট কাটানো সম্ভব বলে অ্যাডভাইজ়রিতে বলা হয়েছে।
এ দিনের আক্রান্তদের মধ্যে এসএসকেএমের শিশু শল্য বিভাগে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বুধবার এক শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই এদিন ওই শিশুর অস্ত্রোপচার হয়ে যায় বলে খবর। বিকেলে জানা যায়, শিশুর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ। যার প্রেক্ষিতে কেন রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হল না সেই প্রশ্ন উঠেছে। এসএসকেএমের উপাধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র জানান, রিপোর্ট না এলেও সকলে পিপিই পরেছিলেন। জরুরি ভিত্তিতে ওই শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে বলে জানান উপাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: সুস্থ ৬০%, তবু রোগী বাড়ল আরও ২০,০০০
আরও পড়ুন: কোভিড আবহ বাদ সাধছে সদ্যোজাতদের চিকিৎসায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy