আব্দুল করিম।
বাংলাদেশে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি গোষ্ঠীর মূল ঘাঁটিতে এ রাজ্য থেকে অস্ত্র পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আব্দুল করিমকে। পুলিশের দাবি, জেরায় লালবাজারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর কাছে এ কথা স্বীকার করেছে ধৃত করিম। তবে তার দাবি, অস্ত্র পাঠানোর আগেই সে ধরা পড়ে গিয়েছে। করিমকে জেরা করে তার সঙ্গে কয়েক জন বাংলাদেশি জঙ্গির যোগসূত্র জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের ধারণা, করিম কিছু তথ্য আড়াল করতেও চাইছে।
শুক্রবার ভোরে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার গাজিপুর থেকে ধরা পড়ে এ রাজ্যে জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা করিম। পুলিশ সূত্রের দাবি, করিমকে জেরা করে জেএমবি শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিনের খোঁজ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের দাবি, মাস কয়েক আগে কয়েক জন জঙ্গিকে ধরার পরে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। করিমকে ধরে সেই অস্ত্র পাচার চক্রের হদিস পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ২০০৮ -এ জেএমবি সংগঠনে যোগ দেয় করিম। আলাপ হয় সালাউদ্দিনের সঙ্গে। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর শমসেরগঞ্জ-সুতি-ধুলিয়ান এলাকায় সংগঠনের দায়িত্ব পায় সে। ২০১৮ পর্যন্ত করিম মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের প্রায় ২০ জন যুবককে জঙ্গি দলে নিয়োগ করেছে। তাদের কয়েক জন ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: আমপানের ছোবলে ১৬ লাখ গাছ ধ্বংস, সবুজ ফেরাতে একাধিক পরিকল্পনা রাজ্যের
আরও পড়ুন: ১০ দিন পরও জল নামেনি অনেক গ্রামে, ভয় বাড়ছে অসুখেরও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy