নৈহাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
নৈহাটির সত্যাগ্রহ সভায় গিয়ে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেখানে পুরসভার সামনে সত্যাগ্রহ মঞ্চের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। ঘরছাড়াদের ফেরাতে এ দিন বিকালে সেখানে হাজির হন মমতা। সেখানে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না। আপনারা অনেক অত্যাচারিত হয়েছেন। বিজেপির টাকায় কিছু লোক মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে। অত্যাচার চালাচ্ছে গদ্দাররা। বিজেপিকে আমি ঘৃণা করি।’’
ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপি বাঙালি-আবাঙালির মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিভাজনের রাজনীতি করি না। কখনও বাঙালি-আবাঙালি, হিন্দু-মুসলিম, শিখ-খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ করিনি।’’
বিজেপির পাশাপাশি এ দিন নির্বাচন কমিশনকেও ফের একবার আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির মুখপাত্র হয়ে নির্বাচনের সময় এ রাজ্যে এসেছিল নির্বাচন কমিশন। ভূরি ভূরি অভিযোগ দায়ের হওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ ব্যারাকপুর আসনটি তিনি পুনরুদ্ধার করে ছাড়বেন বলেও জানিয়ে দেন মমতা।
তিনি আরও বলেন—
• মহিলাদের নিয়ে বঙ্গজননী কমিটি তৈরি হোক ব্লকে ব্লকে। গন্ডগোল দেখলেই তাড়া করবেন। ছাত্রদের নিয়ে ব্লকে ব্লকে তৈরি হোক জয়হিন্দ বাহিনী। ওরা যদি আরএসএস তৈরি করে, আমরা জয়হিন্দ বাহিনী তৈরি করব। ওদের প্রচুর টাকা আছে আমাদের নেই। দরকার হলে ভিক্ষা করব। চুরি করার চেয়ে ছের ভাল। সকলে একসঙ্গে কাজ করব।
•সবাইকে বলব, বুঝে চলুন, মাথা খাটিয়ে চলুন। বিজেপির টাকায় নিজেদের মান-ইজ্জত খোয়াবেন না।
• এ বার থেকে মাঝেমধ্যেই ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়ায় ঢুঁ মারব আমি। আমডাঙা তোমরা সামলে নিতে পারব আমরা জানি।
• যাদের ঘর ভাঙা হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে তার একটি তালিকা আমার চাই। ক্লাব ভাঙা হয়ে থাকলে, তা আমরা আলাদা করে বুঝে নেব।
• এখন আমার হাতে সব কিছু, কাউকে ছাড়ব না।আমি রেগে গেলে কিন্তু ভয়ঙ্কর।
• নির্বাচন কমিশন আসলে বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করে গিয়েছে। বিজেপিকে জেতাতে এসেছিল।
• অত্যাচার এবং নির্যাতন নিয়ে ৪০০ এফআইআর হয়েছে। কিন্তু কিছু করেনি নির্বাচন কমিশন।
• আমি এখান থেকে চলে যআওয়ার পর যদি একটি অত্যাচারও হয়, আমি বুঝে নেব।
• যত বড়ই নেতা হোক না কেন, এলাকায় একটা বোমাও বরদাস্ত করব না আমি।
• আমি জয় বাংলা, জয়হিন্দ হাজার বার বলব। ফোনে বা রাস্তায় দেখা হলে বলবেন, আমিও জয়হিন্দ, জয় বাংলা বলব। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ সংস্কৃতি তুলে এনে দেবে, তা হবে না।
• মোদীবাবু আপনি ৩০০ আসন পেয়েছেন, ভাল করে সংসদ গড়ুন। কিন্তু বাংলায় সন্ত্রাসবাদী ঢুকিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা করবেন, এ আমি হতে দেব না।
• আমি বিজেপিকে ধিক্কার জানাই। ক্ষমতায় কী করে এসেছে আমি-আপনি জানি। নির্বাচনের নামে এখানে সন্ত্রাস চালিয়েছে।
• কাল নবান্নে অনেক পরিবার গিয়েছিল আমার কাছে। শুনলাম বাঙালি মেয়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
• সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করেছেন গোপাল নামের একজন। সে নাকি সেবা দল করে। এরা কারা?
• একটা সিটে জিতে সন্ত্রাসের কারখানা গড়েছে গদ্দার। এর শেষ আমি দেখতে চাই।
• এরা বাঙালি-অবাঙালিদের নিয়ে রাজনীতি করছে।
• মাত্র কয়েকটা ভোটে হেরেছেন দীনেশ ত্রিবেদী।
• কত টাকা নিয়েছেন? বেনামে জুটমিল করে রেখে দিয়েছেন।
• একটা অত্যাচার যদি দেখি এখানে, আমি পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।
• আমি বিভাজনের রাজনীতি করি না।
• আমার খাবে, আমার পরবে, আর আমাকেই চোখ রাঙাবে।
• শপথ নেওয়ার আগেই এত অত্যাচার। তাহলে শপথ নেওয়ার পর কী হবে।
• কেন্দ্রীয় সরকারের ভয় আমাকে দেখাবেন না।
• আমার গাড়ির সামনে হামলা চালাতে এসেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy