ছোট সন্তান রয়েছে তাঁর। আর সে কারণেই মহিলাকে চাকরিতে নিল না একটি সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ! পেশাদারদের সমাজমাধ্যম লিঙ্কডইনে তেমনটাই দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলা। লিঙ্কডইন পোস্টটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ঝড়ও তুলেছে। যদিও সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মীর সঙ্গে কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে প্রজ্ঞা নামের ওই মহিলা লিঙ্কডইনে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। মার্কেটিং পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা ওই মহিলা জানিয়েছেন, সম্প্রতি দিল্লির একটি সংস্থায় চাকরির আবেদন করেছিলেন তিনি। ইন্টারভিউয়ে ডাকও পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ইন্টারভিউয়ে তাঁকে নাকি বেশ কিছু ‘অনুপযুক্ত’ ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রজ্ঞা জানিয়েছেন, ইন্টারভিউয়ের পর তাঁকে আর চাকরির জন্য ডাকা হয়নি। তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর পরেই তিনি ওই সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন:
প্রজ্ঞার দাবি, সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মী তাঁকে জানান যে, অনেকগুলি কারণে তাঁর চাকরির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ, তাঁর বাড়িতে ছোট সন্তান থাকা। দুঃখপ্রকাশ করে প্রজ্ঞা লিখেছেন, ‘‘আমাকে ইন্টারভিউয়ে আমার কাজের অভিজ্ঞতা, আমার সাফল্য, ব্যর্থতা, চ্যালেঞ্জ নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। এমনকি, আমার যোগ্যতা এবং দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন করেনি কেউ। শুধু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়। সন্তানদের বয়স, তারা কোন স্কুলে পড়ে, তাদের কে দেখাশোনা করে— এ সব প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখনই বুঝেছিলাম যে আমাকে নেওয়া হবে না।’’
আরও পড়ুন:
লিঙ্কডইনে প্রজ্ঞা জানিয়েছেন, চাকরির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে দুঃখ নেই তাঁর। তবে যে কারণে তাঁর আবেদন বাতিল করা হয়েছে তা অনুপযুক্ত এবং নীতিবিরোধী। তাঁর অনেক মহিলা বন্ধুকে চাকরির খোঁজ করার সময় একই রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রজ্ঞা।
প্রজ্ঞার ওই পোস্ট সমাজমাধ্যমে হইচই ফেলেছে। তিনি যে সংস্থায় আবেদন করেছিলেন সেটির সমালোচনা করেও সরব হয়েছেন অনেকে।