শুধুমাত্র ফল খেয়ে রোগা হতে চেয়েছিলেন তরুণী। ওজন কমতে কমতে পৌঁছে যায় ২২ কেজিতে। খাবারের তালিকায় ফল ছাড়া কিছুই রাখতে চাইতেন না ২৭ বছরের তরুণীর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বেড়াতে গিয়ে একটি রিসর্টের ভিলা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। তিন দিন ধরে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় তরুণীর বন্ধু রিসর্টে ফোন করেন। কর্মীরা ভিলায় ছুটে গিয়ে দেখেন মরে পড়ে রয়েছেন তরুণী।
ক্যারোলিনা ক্রিজ়াক নামের ওই তরুণী ২০২৪ সালে মারা যান বলে সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। তরুণীর চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে এসেছে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাম্বারকিমা হিল রিসর্টে গিয়েছিলেন ক্যারোলিনা। সেখানে সুইমিং পুল-সহ একটি ভিলা ভাড়া করেন তিনি। রিসর্টের কর্মীরা লক্ষ করেছিলেন অতিথির চেহারা শীর্ণ ও অস্থিসার, চোখ কোটরে ঢুকে গিয়েছে। ক্যারোলিনার নখ হলুদ হয়ে গিয়েছিল, দাঁতও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হাঁটতেও কষ্ট পেতেন। তাঁকে তাঁর ঘরে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতেন কর্মীরা। বার বার তাঁকে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ করলেও প্রতি বারই তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ক্যারোলিনা।
রিসর্টে আসার তিন দিন পর, ওই তরুণীর এক স্থানীয় বন্ধু হোটেলে ফোন করে জানান যে, ক্যারোলিনা আসার পর থেকে তিনি কোনও খবর পাননি। আতঙ্কিত কর্মীরা তাঁর ভিলায় ছুটে যান, যেখানে তাঁরা ক্যারোলিনাকে নিশ্চল এবং অসাড় অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তিনি দীর্ঘ দিন অপুষ্টি, অস্টিয়োপোরোসিস এবং অ্যালবুমিনের ঘাটতিতে ভুগছিলেন। এগুলি তাঁর কঠোর ডায়েটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
আরও পড়ুন:
মৃত তরুণীর বন্ধুরা জানিয়েছেন, ক্যারোলিনা দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং কিশোর বয়সে অ্যানোরেক্সিয়ার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সময় যোগব্যায়াম এবং নিরামিষ খাবারের প্রতি অনুরাগ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে আমিষ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন ও ফলমূল খেয়েই জীবনধারণ করতে শুরু করেন। এর ফলেই অকালে জীবন দিতে হয় তরুণীকে।