প্রতীকী ছবি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার বেহালার এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পরে দেহ নিয়ে যেতে সময় লেগেছিল ১৫ ঘণ্টা। মঙ্গলবার বছর ষাটের এক করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়কে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য পরিবারকে অপেক্ষা করতে হল ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুরের শ্যামাপল্লিতে।
পরিবহণ দফতরের কর্মী ওই প্রৌঢ়ের ছেলে মঙ্গলবার জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাঁর বাবার জ্বর ছিল। গত ২৪ জুলাই তাঁরা বেসরকারি একটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করান। সোমবার রিপোর্টে পজ়িটিভ আসে। এর পর থেকেই প্রৌঢ়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও রকম সাহায্য মেলেনি। তাই তাঁরা নিজেরাই বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কোথাও কোনও শয্যা খালি নেই বলে জানানো হয় তাঁদের। শেষে তাঁরা যাদবপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শয্যা খালি রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন থেকে না বললে রোগীকে ভর্তি করানো যাবে না।
প্রৌঢ়ের ছেলে জানিয়েছেন, এ দিন সকাল থেকে ফের তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া নম্বরে ফোন করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ এক জন ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্সের লোক বলে পরিচয় দেন। কিন্তু তার পর থেকে ফোন করলে কখনও বলা হয়েছে আরও সময় লাগবে। আবার কখনও বলা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সে তেল নেই। তেল ভরার পরে অ্যাম্বুল্যান্স মিলবে।’’
শেষমেশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয়। কিন্তু সেখানেই হয়রানির শেষ নয়। বাড়ির গলিতে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকানোর জায়গা থাকলেও চালক রাজি হননি। প্রৌঢ়ের ছেলের অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট নিয়েই তাঁর বাবাকে হাঁটিয়ে বড় রাস্তায় নিয়ে যেতে বলা হয়। শেষে অনেক অনুরোধ করার পরে অ্যাম্বুল্যান্স বাড়ির সামনে যায়। অভিযোগ, রোগীকে ধরে তুলতে চাননি পিপিই পরা চালক ও তাঁর সহকর্মী। শেষে পিপিই ছাড়াই তিনি নিজে বাবাকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলেন। পরে মোটরবাইক নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পৌঁছন।
অ্যাম্বুল্যান্স আসতে এত দেরি কেন হল, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর স্বাস্থ্য দফতর থেকে মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy