ফাইল চিত্র
লকডাউনের গিঁট অন্যত্র কমবেশি খুলতে পারে। কিন্তু কোভিড-দুশমনকে প্রবেশাধিকার দিতে এক ছটাক জমিও ছাড়ছে না সেনাবাহিনী।
করোনাভাইরাস রুখতে পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনী, দমকলকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় আমপানের দুর্বিপাকে এ রাজ্যে সেনাবাহিনীকেও গাছ সরিয়ে সঙ্কটের মোকাবিলায় পথে নামতে হয়েছিল। অতিমারির সঙ্কটে পুরোপুরি নিশ্ছিদ্র থাকতে সেনাবাহিনী বাড়তি পদক্ষেপ করছে বলে সামরিক সূত্রের খবর। তবে দেশ জুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির পটভূমিতে কেউই বিপন্মুক্ত নন, এটাই বাস্তবতা। শুধু সামরিক বাহিনীর সদস্যেরাই নন, সেনা দফতরের নানা কাজের শরিক অসামরিক কর্মী-অফিসারদেরও সংক্রমণমুক্ত রাখার বিষয়ে সতর্ক সেনা-কর্তৃপক্ষ।
কিছু দিন আগে ইস্টার্ন কমান্ডের সদর ফোর্ট উইলিয়ামে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের (এমইএস) এক কর্মীর করোনা ধরা পড়ার পরেই এ বিষয়ে লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। ওই ব্যক্তি সেনা-অফিসারদের আবাসনেও এসি বসানো বা সারানোর কাজ করতেন। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ২৫ জুন ফোর্ট উইলিয়াম চত্বর এবং সেনা-অফিসার, কর্মীদের লাগোয়া আবাসন বা পরিচারকদের থাকার জায়গা-সহ ১৩টি কন্টেনমেন্ট জ়োন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র উইংকমান্ডার মনদীপ হুদা রবিবার বলেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের পরিসরে কোভিড নিয়ে যে-সতর্কতা রয়েছে, সেনাবাহিনীর এলাকায় কড়াকড়ি তার থেকে ১০ গুণ বেশি।’’
সেনা সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর যে-সব সদস্য ছুটি কাটিয়ে ফিরছেন, তাঁদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ফোর্ট উইলিয়ামের মতো ফৌজি ঘাঁটি থেকে এখন কারও বেরোনোর অনুমতি নেই। ফৌজি ঘাঁটিতে কর্মরত অসামরিক কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই কড়াকড়ি থাকছে। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘ক্যান্টিনকর্মী, এমইএসের কর্মীদেরও ভিতরেই রাখা হচ্ছে। সেনা-সহ কারও বিশেষ দরকার ছাড়া বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। বাইরে থেকে অর্ডার করা খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ফোর্ট উইলিয়ামে। অনলাইনে কেনা বা অন্য ভাবে পাঠানো কোনও সামগ্রী পৌঁছনোর পরে ৪৮ ঘণ্টা সেগুলো ছোঁয়া যাচ্ছে না। ওই সময়সীমার পরে প্রাপক তা নিয়ে যেতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy