Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
coronavirus

বডিগার্ড লাইন্সে আরও কঠোর নিরাপত্তা

ওখানে বহিরাগতদের প্রবেশে নিযেধাজ্ঞা জারি করেছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। প্রয়োজনে তাঁদের অনুমতি নিয়ে তবেই বডিগার্ড লাইন্স চত্বরে ঢুকতে পারবেন বহিরাগতেরা।

দুর্ভোগ: দিল্লি ফেরত যাত্রীদের বাসে ওঠার লাইন। বৃহস্পতিবার, হাওড়া স্টেশনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

দুর্ভোগ: দিল্লি ফেরত যাত্রীদের বাসে ওঠার লাইন। বৃহস্পতিবার, হাওড়া স্টেশনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০৪:৫২
Share: Save:

আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ক্যান্টিনে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের পরে আরও আঁটোসাঁটো করা হল সেখানকার নিরাপত্তা। ওখানে বহিরাগতদের প্রবেশে নিযেধাজ্ঞা জারি করেছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। প্রয়োজনে তাঁদের অনুমতি নিয়ে তবেই বডিগার্ড লাইন্স চত্বরে ঢুকতে পারবেন বহিরাগতেরা।

বডিগার্ড লাইন্স চত্বরে বসবাস করা, একটি বেসরকারি হাসপাতালের সাফাইকর্মী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পরেই সেখানে ঢোকা-বেরোনোয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এর পরে গত বুধবার রাতে ক্যান্টিনের ভিতর থেকে সমীর সিংহ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, এই দুই ঘটনার পরেই কঠোর করা হয়েছে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের নিরাপত্তা।

বুধবার ক্যান্টিনে দেহ উদ্ধারের পরে সেখানে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। বৃহস্পতিবারও ফের শীর্ষ কর্তারা সেখানে যান এবং গোটা চত্বর ঘুরে দেখেন। সূত্রের দাবি, এর পরেই স্থির হয় যে পুলিশকর্মী ছাড়া বাইরের কেউ ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরে রয়েছে সশস্ত্র ব্যাটেলিয়নের অফিস, পুলিশকর্মীদের ব্যারাক এবং কোয়ার্টার্স। ওই আবাসিক পুলিশকর্মীদের ঢোকা-বেরোনোর জন্য বিশেষ অনুমতিপত্র দেওয়া হতে পারে। তবে আপাতত তাঁরা নিজেদের পরিচয়পত্র দেখিয়েই ভিতরে ঢুকতে পারবেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে অনলাইনে কেনাকাটার উপরে নির্ভর করছেন সেখানকার বেশ কিছু বাসিন্দা। তাই বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় তাঁরা জিনিস কী ভাবে হাতে পাবেন, সেই চিন্তা বেড়েছে।

পুলিশের দাবি, করোনার কারণে সমীরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর ভাই এবং ওই ক্যান্টিনের মালিক রতন সিংহ। দাদার সঙ্গে থাকায় তাঁরও করোনা হয়েছে বলে দাবি
করেন রতন। যদিও সমীরের দেহের ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সেরিব্রাল স্ট্রোকে, দেহ উদ্ধারের ৩৬-৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ফলে এটি কোনও খুনের ঘটনা নয়। রতনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁর কথায় অসঙ্গতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। রতন কেন করোনার প্রসঙ্গ তুলছেন, তা জানতে তাঁকে জেরা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE