প্রতীকী ছবি
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে ঠিক মতো চিকিৎসা হচ্ছে না, এ হেন একাধিক অভিযোগে ১০ দিনের মধ্যে তিনটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ উঠেছে ভাঙচুর করারও। তার মধ্যে গরফা থানাও রয়েছে। সেই বিক্ষোভ যাতে বাহিনীর মধ্যে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে না পড়ে, তার ব্যবস্থায় নামল লালবাজার। সোমবার কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার শহরের তিনটি ট্র্যাফিক গার্ড ঘুরে দেখেন। করোনার সময়ে পুলিশকর্মীরা যথেষ্ট পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ার পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি।
নিচুতলার পুলিশকর্মী থেকে অফিসার, সকলের সঙ্গেই কথা বলেন ডিসি। করোনার মোকাবিলার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সবাই পাচ্ছেন কি না, তা-ও তিনি জানতে চান। কাজের সময়ে কারও কোনও অসুবিধা হচ্ছে কী না, তা নিয়েও পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি। এ ভাবে বাহিনীর এক শীর্ষ কর্তার গার্ড এবং ব্যারাক পরিদর্শনে খুশি পুলিশকর্মীরাও।
লালবাজার সূত্রের খবর, ডিসি (ট্র্যাফিক) এ দিন হেডকোয়ার্টার্স ট্র্যাফিক গার্ড, হাওড়া ব্রিজ ট্র্যাফিক গার্ড এবং জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডে যান। ঘুরে দেখেন নিচুতলার পুলিশকর্মীদের থাকার ব্যারাকও। কথা বলেন ব্যারাকে থাকা পুলিশকর্মী, সার্জেন্ট এবং অফিসারদের সঙ্গেও।
ট্র্যাফিক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্তার কথায়, ‘‘সাধারণত কোনও শীর্ষ পুলিশকর্তাই ব্যারাকে খোঁজ খবর নিতে যান না। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই ডিসির এই পরিদর্শন বাহিনীর মনোবল বৃদ্ধি করবে। এতে পুলিশকর্মীরা উৎসাহিত হবেন।’’ পরে ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার বলেন,‘‘বাহিনীর পাশে আছি ওই বার্তা দিতেই পরিদর্শন করছি।’’
এ দিকে নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করতে থানাগুলিকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।। পুলিশের শীর্ষমহলের বক্তব্য, নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহারে অভ্যস্ত করতে নিয়মিত প্রচারের প্রয়োজন। থানার কাছে মাস্ক থাকলে প্রয়োজনে তা-ও বিলি করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy