প্রতীকী ছবি
পেশায় গাড়িচালক। কিন্তু সেই পরিচয়ের আড়ালেই টাকা চুরি চক্রের কারবার ফেঁদে বসেছিল যুবকটি।
টাকা চুরির একটি ঘটনার তদন্তে নেমে দত্তপুকুর থানার পুলিশ সোমবার ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে হদিস মেলে চক্রের। ধরা পড়েছে যুবকের দুই সঙ্গীও। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম হৃদয় ব্যাপারি, প্রভাকর মণ্ডল এবং সৌরভ বৈরাগী। হৃদয় ওই চক্রের মাথা। সকলেরই বাড়ি বনগাঁর সুভাষপল্লি এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশের তরফে আদালতের কাছে ধৃতদের টিআই প্যারেডের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, টিআই প্যারেডের পরে তিন জনকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হবে। এই চক্রে আরও কারা জড়িত, তা দেখছেন তদন্তকারীরা।
কী ভাবে খোঁজ মিলল এই চক্রের?
পুলিশ জানিয়েছে, বনগাঁর মতিগঞ্জ নেতাজি মার্কেট এলাকায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান আছে সন্দীপ মজুমদার নামে এক ব্যক্তির। ব্যবসার কাজে তাঁকে প্রায়ই টাকা নিয়ে কলকাতায় যেতে হয়। সোমবার সকালেও একটি মালবাহী গাড়িতে করে কলকাতায় যাচ্ছিলেন সন্দীপ। গাড়ি চালাচ্ছিল হৃদয়। দত্তপুকুর থানার বামনগাছিতে যশোর রোডের ধারে একটি হোটেলের সামনে গাড়ি রেখে তাঁরা সেখানে খেতে ঢোকেন। সে সময়ে হোটেলের আশপাশে দু’জন যুবককে দেখে সন্দেহ হয়েছিল সন্দীপের। হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে এসে তিনি দেখেন, চালকের কেবিনে রাখা টাকা ভর্তি ব্যাগটি নেই। পরমুর্হূতে তাঁর চোখে পড়ে, সন্দেহভাজন ওই দুই যুবক মোটরবাইক নিয়ে পালাচ্ছেন। এর পরেই দত্তপুকুর থানার দারস্থ হয়ে পুরো ঘটনা জানান সন্দীপ।
থানার আইসি তমাল দাস বলেন, ‘‘এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাছে কোনও সূত্র ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় গাড়িচালক হৃদয়কে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দীর্ঘ জেরায় সে চুরির কথা স্বীকার করে।’’
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় হৃদয় জানিয়েছে, টাকা চুরির পরিকল্পনা ছিল তারই। আগেই সে কথা প্রভাকর এবং সৌরভকে জানিয়ে রেখেছিল সে। কোথায় গিয়ে কী ভাবে চুরি করতে হবে, সেটাও বলে দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বনগাঁ থেকেই বাইকে প্রভাকর এবং সৌরভ অনুসরণ করছিল হৃদয়ের গাড়ি। সন্দীপ ও হৃদয় হোটেলে খেতে যাওয়ার সময়ে তারা টাকারব্যাগ নিয়ে পালায়। হোটেলে ঢোকার সময়ে গাড়ির লক খুলে রেখে গিয়েছিল হৃদয়।
সোমবার রাতেই বনগাঁ থানার সহযোগিতায় সুভাষপল্লি এলাকা থেকে প্রভাকর ও সৌরভকে গ্রেফতার করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy