সুস্থ থাকতে ডায়েটে প্রোটিন থাকা প্রয়োজন। দেহে দৈনিক প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে ডিম। অনেকেই নিয়মিত ডিম খান। আবার কেউ কেউ সপ্তাহের বিশেষে কয়েকটি দিনেই ডিম খান। কেউ মাছ এবং মাংসের সঙ্গে ডিম মিলিয়ে খেয়ে থাকেন। তবে টানা ২ সপ্তাহ যদি কেউ একটি করে ডিম খান, তা হলে তাঁর শরীরে একাধিক পরিবর্তন হতে পারে।
আরও পড়ুন:
একটি প্রমাণ আকারের ডিমের কুসুমের মধ্যে ২.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। অন্য দিকে, ডিমের সাদা অংশের মধ্যে প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে দেহে একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়—
১) চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোখের ছানি এবং ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’-এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ডিম। চোখের রেটিনার মাঝে থাকে ম্যাকুলা। এই অংশটিক কার্যক্ষমতা কমে গেলে কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত ডিম খেলে ম্যাকুলার কার্যকারিতা বজায় থাকে।
২) ডিম পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ বলে তা মস্তিষ্ক এবং লিভারের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কোলিন থাকে। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের চাপ কমাতে সাহায্য করে। আবার কোলিন ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দূর করতে পারে। বর্তমানে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস।
৩) অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই অভিযোগ আংশিক সত্য। কারণ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডিম শুধুমাত্র ভাল কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত ডিম ডায়েটে রাখলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ডিম উপকারী।