আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জীবনে চলার পথে এমন সময়ের কাঠগোড়ায় এসে দাঁড়াই যখন কিছুই ঠিকমতো হয় না। কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক ক্ষেত্র, দাম্পত্য জীবন প্রভৃতি সব দিক দিয়ে বহু মানুষকে হতাশার শিকার হতে হয়। প্রায় হয়ে আসা কাজ শেষে এসে ভেস্তে যায়। পরিবারের কেউ আমাদের বুঝতে চান না, ফলত অশান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি মনের মানুষও ছেড়ে চলে যান। এর মানে আপনার খারাপ সময় চলছে। ভাগ্য আপনার সঙ্গ দিচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে আপনার উপর কেউ খারাপ নজর দিয়েছেন, অথবা গ্রহের দশা চলছে বা অন্য কিছু। কিন্তু এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। অযথা চিন্তা না করে জ্যোতিষশাস্ত্রের সাহায্য নিন। সামান্য পাঁচ নিয়ম মেনে চললেই ভাগ্য থাকবে আপনার বশে।
আরও পড়ুন:
ভাগ্যের হাল বদলাতে কী কী টোটকা মানতে হবে?
১. প্রতি দিন স্নানের জলে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে স্নান করুন। ভাগ্যের উন্নতি কাকে বলে সেটা বুঝতে পারবেন। কিছু দিন এই উপায় মেনে চললেই স্বচক্ষে ফল দেখতে পাবেন।
২. আর্থিক সমস্যা দূর করতে এবং পরিবারে শান্তি আনতে প্রতি মঙ্গলবার পঞ্চমুখী হনুমানজির পুজো করুন। একাগ্রতার সঙ্গে হনুমান চলিশা পাঠ করুন এবং মঙ্গলবার করে সন্ধ্যাবেলা বজরংবলির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।
৩. বাড়ি থেকে সমস্ত অবাঞ্ছিত জিনিস, যেমন ভাঙা প্লাস্টিক, বন্ধ ঘড়ি, ছেঁড়া জুতো প্রভৃতি বাতিল করা সমস্ত জিনিস ফেলে দিন। এগুলিকে বাড়িতে জমিয়ে রাখলে সেটির নেগেটিভ প্রভাব আমাদের ভাগ্যের উপর পড়ে।
আরও পড়ুন:
-
বাড়িতে হোক বা বাইরে, খাবারে ঘন ঘন চুল পাচ্ছেন? নেপথ্যে থাকা ভয়াল কারণটির খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী
-
ঘুমের আমি, ঘুমের তুমি! পৃথিবী এক দিকে, এক দিকে তাঁদের ঘুম, এই পাঁচ রাশিকে চেনা যায় তাঁদের নিদ্রা দিয়েই!
-
নর গণের সঙ্গে রাক্ষস গণের বিয়ে মানেই বিচ্ছেদ, এই ধারণা ভুল! বিশেষ পাঁচ ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক অন্যদের ছাপিয়ে যায়
৪. শনিবার করে কালো তিল ও গুড় দান করুন। সঙ্গে কালো কুকুরকে রুটিতে অল্প সর্ষের তেল মাখিয়ে খাওয়ান। এতে শনিদেব যদি আপনার উপর রুষ্ট হন, তা হলে কিছুটা হলেও তাঁর রাগ কমবে। সৌভাগ্যের উদয় ঘটবে।
৫. সর্বদা পজ়িটিভ চিন্তাভাবনা। আমাদের নেগেটিভ চিন্তাধারার ফলও আমাদেরই ভোগ করতে হয়। বিশেষ করে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কখনও খারাপ চিন্তা মাথায় আনবেন না।