Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Ershad died

৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ এরশাদ

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ। পরে তাঁর পরিবার রংপুরে চলে যায়।

প্রয়াত মহম্মদ এরশাদ — ফাইল চিত্র

প্রয়াত মহম্মদ এরশাদ — ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ১২:২১
Share: Save:

প্রয়াত বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেন মহম্মদ এরশাদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। রবিবার, ভারতীয় সময় ৭.১৫ নাগাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ফুসফুসে সংক্রমণ, কিডনির সমস্যা-সহ নানা অসুখে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। গত ২৬ জুন থেকেই আইসিইউতে ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। কিন্তু, ক্রমাগতই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। রবিবার সকালে থামল এরশাদের লড়াই। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল। শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর, মঙ্গলবার কপ্টারে নিয়ে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হবে এরশাদের দেহ। তারপর, তাঁর শেষকৃত্য করা হবে ঢাকায়।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহারের দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ। পরে তাঁর পরিবার রংপুরে চলে যায়। সেখানকার স্কুলেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন এরশাদ। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন তিনি। পরে, ১৯৫২ সালে পাক সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। সেনাবাহিনীর চাকরিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব ছিল এরশাদের উপরেই।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক দেশ শাসন করেন তিনি। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই সেই চেয়ারে বসেন এরশাদ। এর মাঝেই ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি (এরশাদ) তৈরি করেন। সেই বছরেই নির্বাচন জিতে রাষ্ট্রপতি হন তিনি। কিন্তু, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

১৯৯১ সালে গ্রেফতার করা হয় এরশাদকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, দুর্নীতি-সহ মোট ২৬টি মামলা ছিল। যদিও, বিএনপি ও আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে বেশিরভাগ মামলা থেকেই মুক্ত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে জামিনেও মুক্তি পান এরশাদ। তবে, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত খুন ও দুর্নীতি সংক্রান্ত দুটি মামলা থেকে মুক্তি মেলেনি। জেলে থাকাকালীন ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন এরশাদ। নানা সময়ে জোট বেঁধে বাংলাদেশে সরকার গঠন। একসময়, এই কৌশলের প্রধান কুশীলব হয়ে উঠেছিলেন এরশাদ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বর্ণময় অধ্যায় হুসেন মহম্মদ এরশাদ। রবিবার, সেই থেমে গেল সেই জীবন।

আরও পড়ুন : পঞ্চাশে অ্যাপোলো ১১, চন্দ্র-উৎসবে ওয়াশিংটন​

আরও পড়ুন : অনুপ্রবেশকারী ধরপাকড় শুরু

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE