ছবি: এএফপি
যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, অসুস্থতার প্রথম সপ্তাহেই তাঁদের শরীর থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ব্রিটেন ও ইটালির একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায উঠে এসেছে এই তথ্য। কী ভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা জানতে বিজ্ঞানীরা অতিমারির শুরু থেকেই এই গবেষণা চালিয়েছিলেন। কী ভাবে এই রোগের সংক্রমণ আটকানো যায়, গবেষণার একটি দিক সে দিকেও আলোকপাত করেছে। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা, ইউনিভার্সিটি অব অ্যান্ড্রুজ, কাটুগনো হসপিটাল অব নেপলসের বিজ্ঞানীরা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম ৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও আক্রান্তের শরীর থেকে প্রথম ৫ দিনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কারণ, সেই সময় শরীরের ‘আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক’-এ ভাইরাস অবস্থান করে। ফলে সহজে হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণেই বিজ্ঞানীরা বলেছেন করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই আক্রান্তকে নিভৃতবাসে পাঠানো জরুরি। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই রোগ সংক্রমণ আটকানোর মূল পথ।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল সেনা
‘সার্স কোভ টু’, ‘সার্স কোভ’ এবং ‘মার্স কোভ’ নামে তিনটি ভাইরাসের মধ্যে করোনাভাইরাস (সার্স কোভ টু) সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে। সেই কারণেই আক্রান্তকে প্রথম ৫ দিনের মধ্যে আইসোলেট করা জরুরি। গবেষকরা তার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও প্রচার চালানোর কথা বলেছেন। সামান্য সর্দি কাশি হলেও যে সতর্ক হওয়া উচিত, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে পথদুর্ঘটনায় ৬ শিশু-সহ মৃত ১৪
এর পরেই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। তাঁরা বলেছেন, সাধারণত ন’দিন পর্যন্ত ভাইরাসের সংক্রমণ শরীরে থাকে। কিন্তু সেই ভাইরাসের শেডিং বা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা থাকে প্রায় ৮৩ দিন পর্যন্ত। লাইভ ভাইরাস না থাকলেও আরএনএ শেডিংয়ের ক্ষেত্রে ভাইরাস থাকতে পারে এত দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy