Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রোগা হতে এই খাবারগুলো অবশ্যই রাখুন ডায়েটে

রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট থেকে কী কী বাদ দিতে হবে তার লিস্ট তো সকলেই জানেন। কিন্তু রোগা হতে গিয়ে অনেক সময়ই পুষ্টির কথা ভুলে যাই আমরা। জেনে নিন এমন কিছু খাবার যা রোগা হতে গেলে ডায়েটে রাখতেই হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:২৩
Share: Save:

রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট থেকে কী কী বাদ দিতে হবে তার লিস্ট তো সকলেই জানেন। কিন্তু রোগা হতে গিয়ে অনেক সময়ই পুষ্টির কথা ভুলে যাই আমরা। জেনে নিন এমন কিছু খাবার যা রোগা হতে গেলে ডায়েটে রাখতেই হবে।

দই

ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ দই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সবকিছুর জন্যই ভাল। এমনকী স্ন্যাক্স হিসেবে বা শেষপাতে খাওয়ার জন্যও দই খুব উপকারী।

বাদাম

রোগা হতে গেলে খিদে চেপে রাখার প্রয়োজন নেই। বাদাম রাখুন হাতের কাছে। যখনই অল্প অল্প খিদে পাবে একমুঠো বাদাম মুখে ফেলে চিবোতে থাকুন। এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার ও প্রয়োজনীয় ফ্যাট। যা খিদেও মেটাবে, ওজনের খেয়ালও রাখবে। আমন্ডে ক্যালরি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই খিদের সময় দু’তিনটে আমন্ড খেয়ে নিলেই যথেষ্ট।

ডাল

২০১৬ সালকে আন্তর্জাতিক ডাল বর্ষ ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড জেনারেল অ্যাসেম্বলি। ডালের প্রোটিন ও ফাইবার শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। রোগা হতে চাইলে তাই ডায়েটে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাল রাখুন।

শশা

লো-ক্যালরি সবজি হিসেবে শশার নাম আসে সবার প্রথমে। তার উপর শশা জলে পরিপূর্ণ। ফলে শরীর হাইড্রেটেড রাখতেও উপকারী শশা। ভাত, রটি, স্যান্ডউইচ যে কোনও কিছু সঙ্গেই খাওয়া যায়।

চিকেন

ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে শরীরের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রোটিন। এই প্রোটিনের চাহিদা সবচেয়ে ভাল মেটাতে পারে চিকেন। তাই ওজনের খেয়ার রাখতে ডায়েটে চিকেন রাখতেই হবে।

আপেল

একটা মাঝারি মাপের আপেলে থাকে পাঁচ গ্রাম ফাইবার। সেই সঙ্গেই ভিটামিন সি, এ এবং প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কারণে আপেল দারুণ উপকারী। অথচ ক্যালরি প্রায় নেই বললেই চলে।

লাল আটার রুটি

লাল আটা, ঢেঁকি ছাঁটা চাল ফাইবারে পরিপূর্ণ। পেট যেমন ভরায়, তেমন খিদেও কমায়। ভাতের বদলে খান লাল আটার হাতে গড়া রুটি, ব্রাউন ব্রেড বা হোল হুইট পাস্তা খান।

ডিম

প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে অবশ্যই রাখুন ডিম। এতে পুষ্টি যেমন হবে তেমনই সারা দিন পেট ভরা লাগবে, এনার্জি বাড়বে। শুধু সাদা অংশ নয়, নির্ভয়ে খান গোটা ডিম।

সবুজ শাক-সব্জি

ওজন কমাতে হলে ডায়েটে থাকতেই হবে সবুজ শাক সব্জি। রং যত সবুজ স্বাস্থ্যের জন্য তত ভাল।

ওটস

দামও কম, বানানোও সোজা। অথচ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এক বাটি ওটসে রয়েছে চার গ্রাম ফাইবার ও পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে ওজন নিয়ে মাথা ঘামাতেই হবে না। ওট ব্রেডও খেতে পারেন।

সামুদ্রিক মাছ

স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে সামুদ্রিক মাছ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ মাছ হার্ট সুস্থ রাখতেও দারুণ উপকারী।

ডার্ক চকোলেট

রোগা হতে গেলে চটজলদি স্ন্যাকস হিসেবে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ডার্ক চকোলেট। খাওয়ার পর মিষ্টি খেতে চাইলেও ১০-২০ টুকরো ডার্ক চকোলেট খেয়ে নিতে পারেন।

জল

অনেক সময় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে মনে হয় যেন খিদে পেয়েছ। আবার খিদে পেলে শরীর জল টানে। তাই ওজন কমাতে চাইলে সারাদিন টাটকা জল খেতে থাকুন। খাওয়ার আগে অবশ্যই খান এক গ্লাস টাটকা জল। এতে হজম যেমন ভাল হবে, তেমনই খাবারের পরিমাণও কমবে।

আরও পড়ুন: বয়স আটকাতে ডায়েটে রাখুন এই পাঁচ খাবার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

food diet wight loss chicken
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE