মেটাবলিজম বাড়িয়েও রুখে দিতে পারেন মেদকে। ছবি: শাটারস্টক।
দৈনন্দিন নানা কাজে শক্তির জোগান মেলে খাবার ও পরিপার্শ্ব থেকে। খাবারকে ভেঙে শরীর যত তাড়াতাড়ি তাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারবে ততই শারীরবৃত্তীয় কাজে সুবিধে হবে। কিন্তু শরীর এই কাজটা কত তাড়াতাড়ি করবে, তা নির্ভর করে শরীরের বিপাক বা মেটাবলিজমের উপর।
কাজ করার সময় ও বিশ্রামের সময় সারা দিনে কতটা বিপাক ঘটছে, নির্দিষ্ট সময় ধরে তার গড় হিসেবটাই হল মেটাবলিক রেট। যার মেটাবলিক রেট যত বেশি, তার শরীর তত বেশি ক্যালোরি খরচ করে। আর মেদহীন ছিপছিপে শরীর ও সুস্থতা বজায় রাখতে গেলে এই মেটাবলিক রেটকে বাড়িয়ে তোলার দিকেও মন দিতে হবে।
থাইরয়েড থাকলে এই মেটাবলিক রেটের হার অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কমে যায়। তাই থাইরয়েডের রোগীদের ক্ষেত্রে ওজন কমতে দেরি হয়। তবে, বেশ কিছু উপায়ে এই মেটাবলিক রেটকে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম সকলেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টি বিশারদ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, কিছু বিশেষ নিয়ম মানলেই এই মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে তোলা যায়।
আরও পড়ুন: হার্টের অসুখ থেকে ডায়াবিটিস, অসুখ রুখতে বাদ দিন চিনি, বেছে নিন এ সব বিকল্প
শরাীরচর্চায় অভ্যস্ত হওয়ার পর প্লাঙ্ক যখন করবেন, তখন এক মিনিট ধরে রাখুন একটানা।
শরীরচর্চা: সপ্তাহে ১৮০ মিনিট হাঁটা অনেক রোগকে ঠেকিয়ে রাখে। তা ছাড়া হাঁটাহাঁটির পাশে কিছু ওয়ার্ক আউটও জরুরি। ক্রাঞ্চেস, স্কোয়াটস, প্লাঙ্ক ইত্যাদিতে জোর দিন। এগুলো সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকলে একেবারেই নিজে নিজে চেষ্টা করতে যাবেন না। বরং প্রথম দিকে কোনও ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ নিন। কত দিনে শরীরচর্চার একটু একটু করে সময় বাড়াবেন সে পরামর্শও নিন ট্রেনারের কাছ থেকে। যাঁদের অল্পবিস্তর শরীরচর্চার অভ্যাস আছে, তাঁরা শুরু করতে পারেন স্কোয়াটসের তিনটি সেট দিয়ে। প্রতি সেটে ২০ বার, এই হিসেবে। প্লাঙ্ক যখন করবেন, তখন এক মিনিট করে ধরে রেখে তিনটি সেট অভ্যেস করুন। প্লাঙ্কের সময় পেটকে টেনে ভিতরে ঢুকিয়ে নিন এতে পেটের মেদও কমবে দ্রুত। তবে শুরু করার সময় এতটা পারবেন না। শরীরের উপর চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
গ্রিন টি: মেটাবলিজম বাড়ানোর অন্যতম দাওয়াই গ্রিন টি। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে যেমন উপকার করে, তেমনই মেটাবলিজমও বাড়ায়। প্রতি দিন দু’বেলা এক কাপ গ্রিন টি তাই যোগ করুন ডায়েটে।
আরও পড়ুন: ওষুধেই সম্পূর্ণ রোগমুক্তি ফুসফুসের ক্যানসারে! কী ভাবে সম্ভব করছেন বিশেষজ্ঞরা? রোগ ঠেকাবেন কী করে?
জল: জল কম খেলে শরীরে মেটাবলিক রেট কমতে থাকে। ওজন কত, শরীরে জলের চাহিদা কত তা জেনে, সেই অনুপাতে জল খেতে হবে নিয়মিত।
ডায়েট: মেটাবলিজম ঠিক রাখতে ডায়েটে সব ধরনের খাবার রাখুন। প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বসের পরিমাণ শরীরের চাহিদা অনুযায়ী থাকলে বিপাকক্রিয়ার মাত্রাও ঠিক থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy