Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Cricket

‘ব্র্যাডম্যানের টেস্টে ১০০ গড় হয়নি আমার দোষেই’

লিডসে দ্বিতীয় ইনিংসে হার্ভে যখন নেমেছিলেন, তখন জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার মাত্র চার রান। উলটোদিকে ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে। ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার মারেন হার্ভে।

সোমবার নব্বইয়ে পড়ছেন ব্র্যাডম্যানের ১৯৪৮ দলের একমাত্র জীবিত সদস্য নীল হার্ভে।

সোমবার নব্বইয়ে পড়ছেন ব্র্যাডম্যানের ১৯৪৮ দলের একমাত্র জীবিত সদস্য নীল হার্ভে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:১৪
Share: Save:

শেষ ইনিংসে ডন ব্র্যাডম্যানের দরকার ছিল চার রান। তা হলেই টেস্টে ১০০ গড় হত তাঁর। কিন্তু, তা হয়নি। কোনও রান না করেই ব্র্যাডম্যান ফিরেছিলেন ড্রেসিংরুমে। গড় ছুঁতে পারেনি তিন অঙ্ক, থেমে গিয়েছিল ৯৯.৯৪-তে।

ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ না হওয়া নিয়ে ক্রিকেটমহলে আলোচনা কম হয়নি। ১৯৪৮ সালের ১৪ অগস্ট ওভালে তিনি কেন এরিক হোলিসের গুগলি বুঝতে না পেরে শূন্য রানে আউট হন, তা নিয়ে চলেছে অন্তহীন চর্চা।

সেই সিরিজের পর কেটে গিয়েছে ৭০ বছর। কিন্তু, ব্র্যাডম্যানের সেই দলের একমাত্র জীবিত সদস্য নীল হার্ভে এখনও ভুগছেন অপরাধবোধে। ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ না হওয়ার দোষ নিজের উপর নিচ্ছেন তিনি। সোমবার ৯০-তে পড়তে চলা হার্ভে স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরছেন অতীতে। দাবি করছেন, “আমারই দোষ ছিল। না হলে টেস্টে ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ হতই।”

গুগলিতে বোল্ড হওয়ার পর ফিরে তাকাচ্ছেন ব্র্যাডম্যান । ওভালে শেষ টেস্ট ইনিংসে। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

ঘটনা হল, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে ওভালের আগের টেস্ট ছিল হেডিংলিতে। ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১১২ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ নম্বরে নেমেছিলেন হার্ভে। তখন জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র চার রান। উলটোদিকে ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে। ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার মারেন হার্ভে। জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

আরও পড়ুন: কুলদীপের মতো ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই পাঁচটি করে উইকেট পেয়েছেন এঁরা

আরও পড়ুন: লাল বলে বিশেষ প্রস্তুতিতেই সফল, বলছেন কুলদীপ

হার্ভে বলেছেন, “আমি না হয়ে যদি ওই চার রান ব্র্যাডম্যান করতেন, তাহলেই গড় ১০০ হত। ল্যাঙ্কাশায়ারের সিম বোলার কেন ক্র্যান্সটন আমার পায়ের দিকে বল করেছিল। আমি মিড উইকেট দিয়ে পাঠিয়েছিলাম সীমানায়। সঙ্গে সঙ্গে জনতা মাঠে ঢুকে পড়েছিল। এখনও মনে রয়েছে, ব্র্যাডম্যান আমাকে দ্রুত নিরাপদে সাজঘরে ফেরার জন্য ডাকছিলেন।”

তখন অবশ্য হার্ভের ওই বাউন্ডারির তাত্পর্য বোঝা যায়নি। শেষ ইনিংসে ব্র্যাডম্যান শূন্য করবেন, এটাই বা কে ভেবেছিল! হার্ভে সেটা মেনেওছেন। বলেছেন, “আমি স্বেচ্ছায় দোষ নিচ্ছি। কিন্তু শেষ টেস্টে উনি যে গোল্লা করবেন, তা জানা ছিল না। লিডসে ব্র্যাডম্যানের যে চার রান দরকার, সেটাও বোঝা যায়নি। ওভালে শেষ টেস্টে চার রান করলেই ১০০ গড় হবে, এটাও অজানা ছিল সেই সময়।”

৭৯ টেস্টে ৪৮.৪১ গড়ে ৬১৪৯ রানের মালিক হার্ভের ব্যাখ্যা, “তখন পরিসংখ্যানের চর্চা বেশি ছিল না। টিভি ছিল না। প্রেসেরও কারও এটা জানা ছিল না। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে আমরা ৫২ রানে আউট করেছিলাম। তাই ব্র্যাডম্যান আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপারটায় ইতি ঘটেছিল। আর ব্যাট করার সুযোগ আসেনি।”

(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE