লক্ষ্য: আইপিএলে নামার জন্য মুখিয়ে উইলিয়ামসন। ফাইল চিত্র
বাড়িতে বসে লগ-ইন করে লাইভ ক্রিকেট ম্যাচের ধারাভাষ্য দিতে দেখা যেতে পারে এ বারের আইপিএলে। এ বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত না হলেও তার স্টেজ রিহার্সাল হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘থ্রি টিম ক্রিকেটে’। বরোদার বাড়ি থেকে ইরফান পাঠান, কলকাতা থেকে দীপ দাশগুপ্ত ও মুম্বইয়ের বাড়িতে বসে ম্যাচের ধারাভাষ্য দিয়েছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। আইপিএলেও এ রকম কিছু দেখা যেতে পারে বলেই ধারণা ঘনিষ্ট মহলে।
ইংরেজি অথবা হিন্দি ধারাভাষ্য হতে পারে মাঠের কমেন্ট্রি বক্সেই। কিন্তু তামিল, বাংলা, কন্নড়, গুজরাতি ভাষায় যাঁরা ধারাভাষ্য দেবেন, তাঁরা হয়তো কাজ করবেন বাড়িতে বসেই। টেকনিক্যাল ভাষায় বলা হচ্ছে ‘ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি’।
কী ভাবে এই অভিনব পদক্ষেপ সম্ভব হল ইরফানদের? সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে প্রাক্তন পেসার বলেছেন, ‘‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা হল আমাদের। যদিও শুরুতে ঘাবড়ে ছিলাম। কারণ, ইন্টারনেট স্পিডের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। ভাল ইন্টারনেট পরিষেবা না পেলে স্পষ্ট আওয়াজ শোনা যাবে না। লাইভ ম্যাচের সময় অনেক কিছু ঘটে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ধারাভাষ্য দেওয়া যাবে কি না তা নিয়েও উদ্বেগ ছিল। শেষমেষ আমি সন্তুষ্ট।’’
করোনার প্রকোপে বিদেশেই আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু সংক্রমণ এড়াতে যতটা সম্ভব সীমিত কর্মশক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই আইপিএলে এ ধরনের অভিনব দৃশ্য দেখা যেতে পারে। ইরফান বলছিলেন, ‘‘বাড়িতে বসে মাঠের সব কিছু দেখা সম্ভব নয়। তাই খেলার বাইরে কী হচ্ছে তা জানা যাবে না। তবে আইপিএলে এ রকম কিছু হলে অভিনব উদ্যোগ হবে।’’
নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বুধবার জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএলের জন্য তিনি প্রস্তুত। উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘‘মরুদেশে আইপিএল হলে ভালই হবে। আইপিএল সব সময়ই উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। সমর্থকদের উন্মাদনাই আলাদা মাত্রায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত আপনারাও যা জানেন, আমরাও তাই জানি। অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy