চাঁচল স্টেশনে তখন ভাঙচুর চলছে। নিজস্ব চিত্র
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভের জেরে দিনভর অশান্ত রইল গোটা রাজ্য। ভাঙচুর চলল বহু রেল স্টেশনে। অশান্তির জেরেই পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হল উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগও। রেল সূত্রের খবর, রবিবার এবং সোমবার পূর্ব রেলের হাওড়া-উত্তরবঙ্গগামী বেশির ভাগ ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, তেভাহা এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, হাওড়া আজিমগঞ্জ কবিগুরু রবিবারের জন্যে বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ভাবে চালানো হবে সরাইঘাট এক্সপ্রেস, হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, শনিবার আগরতলা থেকে রওনা হওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় সোমবারও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে রেলের তরফে। আপ-ডাউন দুই লাইনেই নিউ আলিপুর তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, নবদ্বীপ মালদা টাউন এক্সপ্রেস, হাওড়া বালুরঘাট এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় হাওড়া কামরূপ এক্সপ্রেস চালানো হবে না। বাতিল হয়েছে আজিমগঞ্জগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনও।
রবিবার সকাল থেকে ভাঙচুর চলে মালদহ শাখার ভালুকা রোড স্টেশনে। উপড়ে দেওয়া হয় রেলের লাইন। বিক্ষু্ব্ধরা লাইনে আগুনও ধরিয়ে দেন। স্টেশন চত্বরেও ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগানো হয়েছে চাঁচোল স্টেশনেও। ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শুধু রেল নয়, সড়ক পথেও কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে উত্তরবঙ্গ। এ দিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মালদহের বৈষ্ণবনগর মোড় এবং মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি মোড়েও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। নবান্ন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মালদহ, মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy