আত্মঘাতী শুভ্রা মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
হোয়াটস্অ্যাপে প্রেমিককে ছবি পাঠিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকা। তিনি পেশায় শিক্ষিকা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন। ওই শিক্ষিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিককে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের সিউড়ির ডাঙালপাড়ার বাসিন্দা শুভ্রা মণ্ডল বিদ্যাসাগর কলেজের ভূতত্ত্ব বিভাগের আংশিক সময়ের শিক্ষিকা। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বীরভূমেরই করিধ্যার বাসিন্দা সুমন চট্টোপাধ্যায়ের। তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস যাবৎ বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য বলা হচ্ছিল শুভ্রাকে। সুমনকে সে বিষয়ে জানান শুভ্রা এবং দ্রুত বিয়ে সেরে নিতে অনুরোধ করেন। শুভ্রার পরিবারের অভিযোগ, বার বার বলার পরেও বিয়েতে রাজি হচ্ছিলেন না সুমন। তিনি গড়িমসি করছিলেন। তা নিয়ে টানাপড়েন চলছিল দু’জনের মধ্যে। শুভ্রার পরিবারের অভিযোগ, সুমনের ওই ব্যবহারে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শুভ্রা।
রবিবার রাতেওএই বিয়ে নিয়ে সুমন-শুভ্রার মধ্যে বচসা হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এর পরই হোয়াটস্অ্যাপে সুমনকে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান শুভ্রা। এমনকি গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নিজের ছবিও পাঠান সুমনকে। কিন্তু সুমন কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি! রবিবার রাত ১১টা নাগাদ শুভ্রার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। তাতেও সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে শুভ্রাকে তাঁরঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ থানার ঢুকে জনতার তাণ্ডব, আবারও জুজু পুলিশকে দেখল কলকাতা
আরও পড়ুন: নামাজের পরেই ফের শুনশান রাস্তাঘাট, কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ইদ পালন করল কাশ্মীর
শুভ্রার পরিবার সুমনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় সুমনকে। সোমবার তাঁকে সিউড়ি আদালতে পেশ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy