Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Sonia Gandhi

রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটে সিলমোহর সনিয়ার, উজ্জীবিত দুই শিবিরই

হাত শিবির সূত্রে খবর, সনিয়া গাঁধী সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় এ বার বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে দল।

অধীর চৌধুরী, সনিয়া গাঁধী ও বিমান বসু। —ফাইল চিত্র

অধীর চৌধুরী, সনিয়া গাঁধী ও বিমান বসু। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:৪২
Share: Save:

জোটবদ্ধ হয়ে যৌথ কর্মসূচি চলছিলই। এ বার বাংলায় বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটে সিলমোহর দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই খবর জানিয়েছেন। হাত শিবির সূত্রে খবর, সনিয়া গাঁধী সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় এ বার আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে দল। অন্য দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে অক্টোবরেই সায় দিয়েছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি।

নভেম্বরে একাধিক রাজ্যের দলীয় সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল গাঁধী। তার মধ্যে ছিলেন অধীরও। দলীয় সূত্রে খবর, সেই সময়েই বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অধীর। তখনই ঠিক হয়েছিল, সনিয়া গাঁধীর সবুজ সঙ্কেত পেলেই আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে দল। কিন্তু বিহার ভোটে হাত শিবিরের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে সেই সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা দেরি হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সিলমোহর দিলেন সনিয়া। আর তার পরেই অধীরের টুইট, ‘বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে বৃহস্পতিবার সায় দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।’

অন্য দিকে সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল-বিজেপি দুই শাসকদল বাংলার সর্বনাশ করছে এটা সবাই বুঝছে। বাংলার স্বার্থেই এই দুই শক্তিকে পরাস্ত করতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম এবং বামপন্থীরা এ বিষয়ে মনস্থির করেছে। এআইসিসির সিদ্ধান্ত রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।’’

আরও পড়ুন: ফেসবুকে রহস্য জাগানোর পর টুইটারে ‘দিদির সঙ্গেই’ জিতেন্দ্র

প্রায় খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জোট করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিল বাম এবং কংগ্রেস উভয় শিবিরই। জোটের দখলে গিয়েছিল ৭৬টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস ৪৪টি এবং বামেরা ৩২টি আসন পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বড়দা বলে গেলেন মোদী, কটাক্ষ ব্রাত্যর

২০১৬-র বিধানসভা ভোটে মূল বিরোধী শক্তি ছিল বাম-কংগ্রেসই। কিন্তু গত বছর লোকসভা ভোটের পর থেকে শাসক দল তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। রাজনৈতিক কর্মসূচির দিক থেকেও তৃণমূল ও বিজেপি অনেক এগিয়ে রয়েছে। আবার সম্প্রতি পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভায় তৃণমূলের পাশাপাশি দুই বাম বিধায়ক এবং এক কংগ্রেস বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে ২০১৬ সালের বিধানসভার ফল ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sonia Gandhi Left Front Congress Adhir Chowdhury
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE