প্রতীকী চিত্র।
এবার কোভিড সংক্রমণ পূর্ব বর্ধমানেও। রাজ্যের যে জেলাগুলি এতদিন কোভিড মুক্ত ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল পূর্ব বর্ধমান। সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর দেহে মিলল কোভিড ভাইরাস। খণ্ডঘোষের বাসিন্দা ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি মেটিয়াবুরুজের রেডিমেড পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন জ্বর, শ্বাসকষ্টর মতো উপসর্গ নিয়ে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ওই বেসরকারি হাসপাতালটি জেলা প্রশাসন সিভিয়ার অ্যকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি) রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করেছে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর দেহে কোভিডের আরও উপসর্গ লক্ষ্য করে নাইসেডে লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান। সেই রিপোর্ট শনিবার পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যক্তি পজিটিভ হওয়ার পরেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানেরই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক-সহ নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অ্যাম্বুল্যান্স-কর্মী মিলিয়ে ১৬ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হল শনিবার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ এপ্রিল ওই জেলার লাগোয়া মুর্শিদাবাদের সালার থেকে এক বৃদ্ধকে ভর্তি করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই বৃদ্ধ ভর্তি হয়েছিলেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। রোগীর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয় ওই দিনই।
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য সরবরাহে ই কমার্স সংস্থাগুলিকে নিষেধ করল কেন্দ্র
ক্যানসার আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে কলকাতায় প্রথমে ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত জানার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় কাটোয়া হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে। ১৬ জনকে চিহ্নিত করা হয় যাঁরা সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধের। তাঁদের সকলকেই কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এঁদের কোভিড পরীক্ষাও করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy