Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

রেলের কাছে সুরক্ষার দাবি 

এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে আসানসোল, বার্নপুর ও বোকারো থেকে রেলকর্মীদের আদ্রায় না আসার আর্জি জানিয়েছে রেলকর্মীসংগঠন ‘মেনস কংগ্রেস’।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আদ্রা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৪০
Share: Save:

টানা ২৬ দিন বন্ধ থাকার পরে আজ, সোমবার আদ্রার ডিআরএমের অফিস-সহ রেলের বিভিন্ন বিভাগ খোলার কথা। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, অফিসে আধিকারিকরা-সহ ৩৩ শতাংশ কর্মী আসবেন। ‘লকডাউন’ চলায় যাতে সমস্ত রকম সর্তকতা অবলম্বন করেই অফিস খোলা হয়, সেই দাবি জানিয়েছে রেল কর্মী সংগঠনগুলি। আদ্রার ডিআরএম নবীন কুমারের আশ্বাস, ‘‘অফিসে সমস্ত ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করা হবে।”

২০ এপ্রিল থেকে ‘লকডাউন’-এর কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু না হলেও প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য রেলের অফিসগুলি খোলার ঘোষণা আগেই হয়েছিল। কিন্তু ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে রেলকর্মীরা দূরবর্তী স্থান থেকে কী ভাবে অফিসে আসবেন, এই প্রশ্ন তুলেছে রেল কর্মী সংগঠনগুলি।

পুরুলিয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি বলে প্রশাসনের খবর। কিন্তু আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত এই রাজ্যের আসানসোল ও পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে আসানসোল, বার্নপুর ও বোকারো থেকে রেলকর্মীদের আদ্রায় না আসার আর্জি জানিয়েছে রেলকর্মীসংগঠন ‘মেনস কংগ্রেস’। সংগঠনের নেতা সুব্রত দে বলেন, ‘‘আসানসোল, বার্নপুর ও বোকারোর বাসিন্দা রেলকর্মীদের ওই এলাকার রেলের অফিসে কাজ করান বা প্রয়োজনে বাড়িতে থেকে কাজ করার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।”

রেলসূত্রের খবর, যে সমস্ত এলাকাকে কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার বা স্থানীয় জেলা প্রশাসন নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমিত বলে ঘোষণা করেছে, সেখানকার বাসিন্দা রেলকর্মীদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী ঘরে থেকেই কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্য কর্মীদের যাতায়াতের জন্য শাটল ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে জনিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

ডিআরএম বলেন, ‘‘মোট কর্মীর ৩৩ শতাংশ অফিসে আসবেন। সংক্রমণ ছড়ানো এলাকার বাসিন্দা আধিকারিক ও কর্মীদের বাড়িতে থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রতিটি কর্মী মাস্ক পরে আসবেন। অফিসে একে অন্যের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী বসে কাজ করবেন।’’ অফিসে ঢোকার আগে প্রতি কর্মীকে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধোয়ার নির্দেশ দিয়েছে রেল। প্রয়োজনে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্যানারে কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষাও পরিকল্পনা আছে রেলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE