সিবিআই তল্লাশি। লেক টাউনে ওই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বাড়ি ও হেটেলে। বৃহস্পতিবার। — নিজস্ব চিত্র
বছরের শেষ দিনেও গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকা, সালকিয়া, কোন্নগরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই দু’টি মামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গরু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার এবং মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। ওই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত বলে খবর। এর সঙ্গে হাওলার মাধ্যমে টাকা সরানোরও অভিযোগও উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিনয় মিশ্র নামে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর দক্ষিণ কলকাতার দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।
পাশাপাশি বিনয়ের লেকটাউনের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে সিআরপিএফ সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিভিন্ন নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে পরিবারের সদস্যদের। ওই ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক মহলে ভালই যোগাযোগ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে তিনি কোনও অবৈধ কারবারে যুক্ত হয়েছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। তাঁর রাসবিহারী এবং চেতলার বাড়িতে সকাল থেকেই এই তল্লাশি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ওঁর সঙ্গে আমার যা সম্পর্ক, তাতে বহু বছর আগে আমাদের পাশে থাকার কথা বলতেই পারতাম’
শুধু গরু পাচার কাণ্ডেই নয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়লা পাচার কাণ্ডেও একই রকম ভাবে সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সালকিয়া এবং কোন্নগরে নীরজ সিংহ-সহ দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি। এর আগেও নীরজের বাড়িতে তল্লাশি চলেছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালা-র নাগাল এখনও পাননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। লালা বেপাত্তা হলেও তাঁর সঙ্গে ইসিএল, সিআইএসএফ এবং রেলের একাংশের কর্মীদের মধ্যে কয়লা পাচারের যে আঁতাঁত গড়ে উঠেছিল, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে। এই চক্রে নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর। এ বার তাঁদেরই নাগাল পেতে চাইছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy