দিঘার সমুদ্র সৈকতে উদ্ধার হওয়ার পর। - নিজস্ব চিত্র।
দিঘার সমুদ্র সৈকতের পাশে পার্কিংয়ে দাঁড় করানো একটি সাদা রঙের সেডান গাড়ি। হলুদ নম্বর প্লেট। অর্থাৎ ভাড়ার গাড়ি। অন্য গাড়ির সঙ্গে পার্ক করা গাড়িটি বিশেষ ভাবে নজর করার কোনও কারণ নেই। কিন্তু হঠাৎই সৈকতের পাশের রাস্তায় টহলের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মীর নজরে পড়ে ওই গাড়িটি। তিনি দেখেন, একটি শিশু ওই গাড়ির জানলার কাচে মুখ ঠেকিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ওই কর্মী কিছু বুঝতে পারেনি। তার পর তিনি দেখেন, শিশুটি হাত দিয়ে জানলার কাচ খামচে ধরার চেষ্টা করছে। বার বার হাঁ করছে। শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে। তখনই তিনি তাঁর সহকর্মীদের খবর দেন। এর পর পুলিশ গাড়ির কাচ ভেঙে বছর ছয়েকের ওই বালককে উদ্ধার করে। ভয়ে আতঙ্কে তত ক্ষণে কার্যত সংজ্ঞাহীন সে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে চোখে-মুখে জল দিয়ে তাকে কিছুটা সুস্থ করা হয়। পুলিশকে সে জানায়, তার বাবা মা সমুদ্রে স্নান করতে গিয়েছে। যাওয়ার আগে তাকে গাড়ির মধ্যে রেখে দরজা লক করে জানলার কাচ তুলে দিয়ে গিয়েছে তারা।
ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে আটকানো গাড়িতে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই বালক। সঙ্গে কমে যেতে থাকে গাড়ির মধ্যে থাকা অক্সিজেন। শ্বাসকষ্ট হতে থাকে তার। পুলিশ কর্মীরা জানান, আর একটু দেরি হলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে প্রাণহানি হতে পারত তার।
পুলিশ এর পর মাইকে গাড়ির নম্বর ঘোষণা করে বালকের বাবা-মা-কে চিহ্নিত করে। তাদের আটক করে পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘এ ধরনের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার জন্য গ্রেফতারও করা হতে পারে ওই বালকের বাবা-মাকে।”
আরও পড়ুন- ভরদুপুরে নিউ আলিপুরে সেনার পোশাক পরে ব্যবসায়ীকে ‘অপহরণ’-এর চেষ্টা, গুলি
আরও পড়ুন- বাংলার ‘জিহাদ বাজার’ই এখন টার্গেট, জেএমবি-কে সামনে রেখে লড়াই আইএস-আল কায়দার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy