—ফাইল চিত্র।
নির্দেশ মতো তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা কি জনসংযোগে থাকছেন? যথেষ্ট সময় দিয়ে পাড়া-বৈঠকে মানুষের কথা শুনছেন? বা গোটা রাত কাটাচ্ছেন নির্দিষ্ট কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে? এ নিয়ে সংশয় দূর করতে এবার সব কর্মসূচি সরাসরি দেখতে চান ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
জনসংযোগের দ্বিতীয় দফায় জনপ্রতিনিধিদের পাড়া-বৈঠক ফেসবুক-এ ‘লাইভ’ সম্প্রচার করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের। কলকাতায় বসে যাতে ‘টিম প্রশান্ত’ দেখতে পারে, ঠিক কতক্ষণ এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বুঝতে চাইছেন, জনপ্রতিনিধির সঙ্গে স্থানীয় মানুষের সম্পর্ক কেমন।
শুধু তাই নয়, এই ধরনের বৈঠকগুলিতে স্থানীয় মানুষ বিধায়ককে কী বলছেন, তা-ও জানতে চাইছেন প্রশান্তরা। আর এই নতুন নির্দেশ নিয়েই ধন্দে পড়েছেন দলের একাংশ। কারণ পাড়া-বৈঠকে সাধারণ লোককে তিন ঘন্টা বসিয়ে রাখা কঠিন। তাছাড়া, এই ধরনের ‘লাইভ’ অনুষ্ঠানে সবাই রাজি হবেন না বলেও মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলেছেন এই বিধায়কদের একাংশ।
বস্তুত তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিশ্রাম নেই বিধায়কদের। বরং জনসংযোগের প্রথম পর্ব শেষ না হতেই দ্বিতীয় পর্বের নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। গ্রাম ঘোরার এই পর্বে কোথাও দু’টি, কোথাও চারটি করে এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্বের মতোই স্থানীয় চার-পাঁচ জন বিশিষ্টের নাম দেওয়া হয়েছে বিধায়ক তথা জনপ্রতিনিধিদের।
গ্রামে গিয়ে মন্ত্রী, বিধায়কেরা কি সেখানে রাত কাটাচ্ছেন? সব বাসিন্দার অভাব-অভিযোগ ‘ঠিকঠাক’ শুনছেন— এ তথ্য জানতে কেবল নেতা-বিধায়কদের পাঠানো ছবি, ভিডিয়োর উপরেই ভরসা করছে না ‘পিকে-র টিম’। ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দল। নেতা, বিধায়কদের গতিবিধি জানতে ওই দলের সদস্যেরা তাঁদেরও ফোন করছেন, যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি বাঁকুড়ার তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, জনপ্রতিনিধি বাদে কিছু এলাকার সাধারণ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন ‘টিম প্রশান্ত’র সদস্যেরা। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুরে এইরকম ফোনই পেয়েছেন এলাকার দুই তৃণমূল কর্মী অমলেন্দু মুখোপাধ্যায় ও গুরুপদ গড়াই (দু’টি নামই পরিবর্তিত) তাঁদের দাবি, শালতোড়ার বিধায়ক স্বপন বাউড়ির ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উপরে নজর রাখতে বলেছে
‘পিকে-র টিম’।
পেশায় ঠিকাদার অমলেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘ফোনটা যখন আসে, তখন পার্টি অফিসে আড্ডা দিচ্ছি। অচেনা নম্বর থেকে এক জন জানালেন, পিকে-র টিম থেকে বলছেন। গড়গড় করে আমার নাম, ধাম বলে দিয়ে শালতোড়ার বিধায়কের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উপরে নজর রাখতে বললেন। বিধায়ককে দীর্ঘদিন চিনি। কিন্তু কখনও তাঁর কাজের মূল্যায়ন করতে হবে, ভাবিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy