ছবি—শাটারস্টক।
শীতের ভরা মরসুমে যেন বসন্তের আমেজ! পারদ চড়তে চড়তে কলকাতায় একে বারে ১৯ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গেল। সমতল থেকে পাহাড়ে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। যদিও মকর সংক্রান্তিতে কিছুটা হলেও পারদ নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
যদিও কলকাতায় ফের কনকনে ঠান্ডা পড়বে কি না, তা এখনই বলতে পারছে না আলিপুর। তবে সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানাচ্ছে তারা। একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধায় উত্তুরে শীতল বাতাস রাজ্যে ঢুকতে হোঁচট খাচ্ছে। দাপট বাড়ছে পূবালী হাওয়ার। সে কারণে রাজ্য জুড়েই শীতের ভরা মরসুমে বসন্তের আমেজ মালুম হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। বস্তুত, শীতের পোষাক সরিয়ে এখন পাখা-এসিও চালাতে হচ্ছে।
শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরসুমে তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতোই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ক্ষেত্রেও যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আগামী কয়েক দিন কলকাতার আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আগামী ১২ জানুয়ারির পর কিছুটা হলেও পারদ নামবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে দিয়ে উত্তুরে হাওয়া ঢোকে এ রাজ্যে। সেখানেই বাধা পাচ্ছে শীতল বাতাস। উল্টে অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে এ রাজ্য ঢুকছে গরম বাতাস।
পাহাড়েও পারদ তরতরিয়ে বেড়েছে। দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি, কোচবিহার ১১, জলপাইগুড়ি ১২.৮, কালিম্পং ৭.৫, শিলিগুড়ি ১১.৬ ডিগ্রি। পুরুলিয়া এবং পানাগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। বাঁকুড়া, দিঘা, বর্ধমান, ক্যানিং ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: বাংলার গ্রামে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযানে’ সঙ্ঘ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy