প্রতীকী ছবি।
বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে গত ১৪ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তির। তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে এবং পরে স্থানান্তরিত করা হয় সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে পাঠানো হয় রাজারহাটের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। ১৭ এপ্রিল তাঁদের সকলেরই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। বাকিদের রিপোর্ট এসে গেলেও ১০ দিন পরেও রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন ওই পুলিশকর্মীর বড় মেয়ে। সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি রিপোর্ট পাননি।
চিকিৎসা চলাকালীন ওই পুলিশকর্মীর পরপর দু’টি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে ইতিমধ্যেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং ছোট মেয়েরও লালারসের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় গত ২৪ এপ্রিল কোয়রান্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাঁরা। সোমবার ওই পুলিশকর্মীর বড় মেয়ের কোয়রান্টিনে থাকার ১৪ দিনও সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের বাকিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকা একাধিক জনের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। ফলে তাঁরা সব সময়ে ভয়ে রয়েছেন।
ওই পুলিশকর্মীর পরিবার জানাচ্ছে, বড় মেয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে। কিন্তু লালারস সংগ্রহের পরে এত দিন ধরে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি। করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে তাঁরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তাই রয়েই যাচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে কত দিন লাগতে পারে, তা জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজের উত্তরও দেননি।
আরও পড়ুন: এ বার কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে বাড়িতেই থাকা যাবে কোয়রান্টিনে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy