Advertisement
E-Paper

দেবী বিপত্তারিণীর পুজোয় কেন ১৩ রকমের নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়? হাতে লাল তাগা পরার কারণটাই বা কী?

সোজারথ ও উল্টোরথের মাঝের মঙ্গলবার ও শনিবার দেবী বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। সাধারণত বাড়ির মেয়ে-বৌরা এই ব্রত পালন করে থাকেন।

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ০৭:৫৭
bipodtarini pujo

—প্রতীকী ছবি।

বিপত্তারিণীর আশীর্বাদে জীবন থেকে দূর হয় যে কোনও বিপদ। দেবী তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন ফলে বিপদ কাছে ঘেঁষতে পারে না। সোজারথ ও উল্টোরথের মাঝের মঙ্গলবার ও শনিবার দেবী বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। সাধারণত বাড়ির মেয়ে-বৌরা এই ব্রত পালন করে থাকেন। যে কোনও একটা দিন পালন করলেই চলে। তবে এই ব্রত পালনের নানা নিয়ম রয়েছে। তার মধ্যে প্রথমেই আসে ১৩টা করে সব কিছু নেওয়া। এমনকি ব্রত ভাঙতেও হয় ১৩টা লুচি খেয়ে। জোড় সংখ্যার কোনও কিছু তো নেওয়া যায়ই না, অন্যান্য বিজোড় সংখ্যার থেকে ১৩ সংখ্যার সব কিছু নিতে পারলেই ভাল হয়।

বিপত্তারিণী পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য কী?

স্বামী, সন্তান ও পরিবারের মঙ্গলকামনায় বিবাহিত মহিলারা বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করে থাকেন। এই ব্রত পালনের বিশেষ নিয়ম হল দেবী বিপত্তারিণীকে সব কিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হবে। ব্রতর আচার হিসাবে সব কিছুই ১৩ সংখ্যায় দিতে হয়। অর্থাৎ, ১৩ রকমের নৈবেদ্য সাজাতে হয়। এ ছাড়া লাগে তেরো রকম ফল, তেরো রকম ফুল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। ব্রত পালনের দিন চাল-মুড়ি-চিঁড়ে জাতীয় কোনও জিনিস খাওয়া যায় না। বদলে ১৩টি লুচি ও ফল দেবীর প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করতে হয়। ১৩টি করে সব ব্যবহারের কারণ হিসাবে বিশেষ কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। কথিত রয়েছে, মা বিপত্তারিণীর পছন্দের সংখ্যা হল ১৩। সে কারণেই এই পুজোয় দেবীর কাছে সমস্ত জিনিস ১৩টি করে অর্পণ করা হয়। শাস্ত্রমতে, ১৩ সংখ্যাটি ব্যবহার করলে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা যাবে। এতে যে কোনও বিপদ থেকে দেবী আমাদের রক্ষা করবেন। ১৩ সংখ্যাটিকে দেবী বিপত্তারিণীর আশীর্বাদ ও সুরক্ষার প্রতীক মনে করা হয়।

বিপত্তারিণী পুজোয় লাল রঙের তাগা কেন বাঁধা হয়?

বিপত্তারিণীর পুজো শেষে হাতে লাল তাগা বাঁধার চল রয়েছে। মেয়েরা এই তাগা বাঁ হাতে পরেন আর ছেলেরা ডান হাতে পরেন। সেই তাগাতেও ১৩টি গিঁট বাঁধা হয়। সেই ১৩টি গিঁটে দেবী দুর্গার ১৩টি রূপে বিরাজ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। ১৩টি গিঁট ছাড়াও তাতে ১৩টি দূর্বাঘাস বাঁধা হয়। এই তাগা অনেকে সারা বছর ধরে পরে থাকেন, অনেকে আবার তিন দিন পরার পর নদী বা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে বিপদ কোনও দিন আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না। মা বিপত্তারিণীর আশীর্বাদ সর্বদা আপনার সঙ্গেই থাকবে।

Bipodtarini Puja Astrology
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy