প্রতীকী ছবি।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির জোটে ভাঙন ধরায় সে দেশে চিনের প্রভাব কমবে বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড এবং প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি-র দুই দল পরস্পরের প্রতি যুযুধান। নেপালের সংসদ ভেঙে দেওয়ার চক্রান্তকারী হিসাবে গত কালই ভারতকে দোষারোপ করেছেন প্রচণ্ড। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন টুঁ শব্দও করছে না নয়াদিল্লি। সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এই মুহূর্তে স্পর্শকাতর পরিস্থিতি। কিন্তু কে পি শর্মা ওলি গত কয়েক মাস ধরেই চিনের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে ভারতের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ করছেন। গত বছরের সংঘাতপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কাটিয়ে উঠে আজই সে দেশের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গ্যাওয়ালি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ষষ্ঠ ভারত-নেপাল যুগ্ম কমিশনের বৈঠক সেরেছেন। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ভারতের নীতি, এক দিকে ওলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে চিনের প্রভাব সে দেশে কমানো। অন্য দিকে প্রচণ্ডের সঙ্গেও কোনও রকম বিদ্বেষমূলক পরিস্থিতি তৈরি না করা, যা নেপালে ফের উগ্র ভারত বিরোধিতা তৈরি করতে পারে। তাই এখন সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাইছে না ভারত।
মূলত চিনের উদ্যোগেই ২০১৮ সালে ওলি ও প্রচণ্ডের দল মিশে তৈরি হয়েছিল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি)। তা ভেঙে যাওয়ার সে দেশে চিনের একচ্ছত্র নাক গলানোর সুযোগ অনেকটাই কমে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ দু’দেশের যুগ্ম কমিশনের বৈঠকের পর যে বিবৃতি বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘দু’দেশই পারস্পরিক সংযোগ, সীমান্ত-পরিচালন শিক্ষা, পর্যটন, দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।’ অতিমারি পরিস্থিতি নিয়েও দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy