রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসে পরোক্ষ মদত দেওয়ার প্রসঙ্গে চিনকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী চিনের নাম না করেই মন্তব্য করেন পাকিস্তানকে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা বন্ধ করা উচিত।
রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাস এবং চরমপন্থী মনোভাব নিয়ে বিশ্বনেতাদের একটি বক্তৃতা সভা আয়োজিত হয়েছিল । সেই সভায় মোদীর বক্তব্যের লক্ষ্য ছিল চিন। চিন যে বরাবর পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য করে থাকে এবং সেই অর্থ পাকিস্তান পরোক্ষে সন্ত্রাসবাদী কাজে লাগায়, তা ভারতীয় গোয়েন্দারা একাধিকবার জানিয়েছেন। তাই সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করা উচিত বলতে মূলত চিনকেই মোদী ইঙ্গিত করেছেন, মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ওই সভায় মোদী কী কী বলেছেন, তা পুরোটাই সভা শেষে বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) গীতেশ শর্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক স্তরে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময়ের গুণগত উন্নয়ন হওয়া জরুরি, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।’’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে গীতেশ শর্মা জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য বন্ধ হওয়া উচিত। আর এই লক্ষ্যে এগনোর জন্য আমাদের উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জে তালিকাভুক্তি এবং এফএটিএফের (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স) মতো প্রক্রিয়াগুলো থেকে রাজনীতি দূরে রাখা।’’ এই বিষয়টা সকলেরই মাথায় রাখা উচিত এবং মেনে চলা উচিত। বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যে ভাবে গোটা বিশ্ব একমত এবং সংহতি দেখিয়েছে, ঠিক তেমনটাই যেন হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কারণ, মোদী মনে করেন কোনও জায়গায় সন্ত্রাস হামলা হলে তা সন্ত্রাসবাদী হামলাই, সন্ত্রাসবাদের কোনও ভাল বা খারাপ হয় না, জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করুন’, ট্রাম্পের ‘উল্টো সুর’-এর পর বলল বিদেশ মন্ত্রক
আরও পড়ুন: ‘আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পাকিস্তানের যোগ দেওয়া ভুল হয়েছিল’, বিস্ফোরক
চিন পাকিস্তানের ‘সর্বকালীন বন্ধু’। দুই দেশই এতদিন যে কোনও বিষয়ে একে-অপরকে পূর্ণ সমর্থন করে এসেছে। তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্প্রতি পাকিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথাও ঘোষণা করেছে বেজিং। পাকিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের এই চিনের টাকাই পরোক্ষভাবে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিদের সন্ত্রাস চালাতে সাহায্য করে, এটাই মোদীর ইঙ্গিত, মত কূটনৈতিক মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy