Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

ফের কমল সংক্রমণের হার, আশঙ্কা জাগাচ্ছে কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা

বুধবারও রাজ্যে ৩৪ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃতের সংখ্যা ৬। 

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:১০
Share: Save:

ফের রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে উন্নতি হল। একই প্রবণতা দেখা গিয়েছে সুস্থতার হারেও। তবে আশঙ্কা জাগাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও ওই সময়ের মধ্যে শহরে আগের থেকে কম সংখ্যক কোভিড রোগীর মৃত্যুু হয়েছে।

বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৩.৯৬ শতাংশে। যা গত ২৪ জুনের পর থেকে সর্বনিম্ন। ওই দিন তা ছিল ৪.৬৯ শতাংশ। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বুধবার রাজ্যে মোট ৪১ হাজার ৬৭টি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, তার মোট ১ হাজার ৬২৮টি রিপোর্ট পজিটিভ। এই সংখ্যাটিও আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারের থেকে কম। মঙ্গলবার ১ হাজার ৬৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।

স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৬২৪ জন। যদিও তার মধ্যে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৬২ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৮৯।

আরও পড়ুন: কোভিড আবহে জাল্লিকাট্টু-তে ছাড় তামিলনাড়ুর, উঠছে প্রশ্ন

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের কোভিড টিকার অনুমোদন দিতে পারে ভারত

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

কয়েক দিন ধরেই আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছিল। বুধবারও সেই একই প্রবণতা বজায় থেকেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৫৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

আক্রান্তের নিরিখে প্রায় প্রতিদিনই সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৭৩ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। বুধবারও গোটা রাজ্যে ৩৪ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্তের নিরিখে প্রায় প্রতিদিনই সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৭৩ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। বুধবারও গোটা রাজ্যে ৩৪ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলিতে ২ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার হারেও উন্নতি হয়েছে। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৯৫.৩৫ শতাংশে। মঙ্গলবার তা ছিল ৯৫.২৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার হারেও উন্নতি হয়েছে। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৯৫.৩৫ শতাংশে। মঙ্গলবার তা ছিল ৯৫.২৪ শতাংশ।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

সুস্থতা এবং সংক্রমণের হার স্বস্তি দিলেও আশঙ্কা তৈরি করছে কলকাতায় আক্রান্তের পরিসংখ্যান। মঙ্গলবার ৩৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়েছে। ওই সময়ের মধ্যে শহরে নতুন করে ৪১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যা বুধবার রাজ্যের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি। কলকাতার পর উত্তর ২৪ পরগনায় ৪০৩ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে হাওড়াতে।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Coronavirus COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE