গিরিশ পার্ক এলাকার একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
দূষণের প্রসঙ্গ সরাসরি না তুলে অন্য কারও অসুবিধা না করে বাজি পোড়ানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার গিরিশ পার্ক এলাকার একটি কালীপুজোর উদ্বোধন করে মমতা বলেন, ‘‘আলোর এই উৎসবে সকলের হৃদয় আলোকিত হোক। এমনভাবে কেউ বাজি পোড়াবেন না, যাতে অন্য কারও অসুবিধা হয়। খেয়াল রাখবেন যাতে কারও গায়ে, জামাকাপড়ে আগুন লেগে না যায়। সতর্ক ভাবে বাজি পোড়াবেন।’’
প্রতিবারই কালীপুজোয় বাজির শব্দতাণ্ডবের পাশাপাশি বায়ুদূষণে নাজেহাল হতে হয় কলকাতাকে। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই শব্দবাজির মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং বাজি ফাটানোর সময়ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে তাদের কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে। পাশাপাশি বাজির ধোঁয়াও যে একই রকম দূষণের কারণ, সে প্রচারও করা হচ্ছে।
যদিও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, গত বছর কালীপুজো ও দিওয়ালির মরসুমে তিন দিন দূষণ লাগামছাড়া মাত্রা নিয়েছিল। তাঁর দেওয়া হিসেবে, শব্দের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেশি ছিল। ধোঁয়া বেড়েছিল সহনমাত্রার ১৬ গুণ। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা তৈরির প্রক্রিয়া এ বার বাড়ানো হয়েছে। বাকিটা পুলিশের দায়িত্ব।’’ কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ইতিমধ্যেই বলেছেন, যে কোনও মূল্যে তাঁরা শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করবেনই। এই পরিস্থিতিতেই পরিবেশবিদদের একাংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বাজির দূষণ রোধে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও বার্তা দিলে পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে আরও সুবিধা হতো।
এ দিন শহরে কয়েকটি কালীপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সম্প্রীতি-রক্ষার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় সব ধর্ম-বর্ণ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। শক্তির আরাধনা করে প্রার্থনা করব যাতে কেউ আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ করতে না পারে, কেউ সন্ত্রাস করতে না পারে। কেউ অত্যাচার করতে না পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy