—ফাইল চিত্র।
বুথ পিছু তিনজন করে সক্রিয় কর্মী বেছে দিন। তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে এই চাহিদা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। তাঁর ভাবনা, প্রতি বুথে এই কর্মী বাহিনীই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের মুখ হয়ে উঠবে। এই প্রস্তাব মতোই রাজ্যের ৭৭ হাজার বুথের জন্য প্রাথমিকভাবে ২ লক্ষ কর্মী খোঁজার কাজে নামতে চলেছে দলের নেতৃত্ব।
এই সাংগঠনিক বিন্যাস নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা করেছেন প্রশান্ত। সেখানেই স্পষ্ট হয়েছে যে এ রাজ্যে দল হিসেবে সব থেকে বড় হলেও ভোটের সংগঠনের জন্য তা নতুন করে সাজতে চান তিনি। তাই দলকে জনসংযোগ কর্মসূচির মধ্যে রেখেই ভোটের জন্য বুথ-সংগঠনের উপরে জোর দিয়েছেন প্রশান্ত। দলীয় নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন, বুথ পিছু তিনজন সক্রিয় কর্মী জোগাড় করতে হবে। যে সব কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক, সেখানে এই কাজ খুবই সহজ। তাঁদের মাধ্যমেই এই কাজ করতে হবে। আর যেখানে বিধায়ক নেই সেখানে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জেলা সভাপতি বা ভারপ্রাপ্ত নেতারা এইরকম কর্মী সংগ্রহ করবেন। এই কর্মী বাহিনী তৃণমূলের বুথস্তরে 'টিম পিকে'র প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত, প্রশান্তের পরামর্শে আগেই বিধানসভা কেন্দ্রিক তিন-চারজনের একটি করে ‘গ্রুপ’ তৈরি করেছে তৃণমূল। বিধায়কের সাংগঠনিক কাজ পরিচালনার জন্যই এই ‘গ্রুপ।’ এবার তাদের নীচে বুথস্তরে এই এই তিনজন বাছা হচ্ছে। জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে এই তিনজনের কাজকর্ম সম্পর্কে প্রাথমিক ব্যাখ্যা করেছেন।
একমাস ধরে ‘টিম পিকে’র পরামর্শনে গোটা রাজ্যে জনসংযোগ চালাচ্ছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘পিকে’র পরামর্শে জনসংযোগের একটা পর্ব চলছে। এই নতুন কাঠামো তার পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।"
এদিকে, দলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সঙ্গে এদিন যুব সংগঠনকে জুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। এদিন যুব তৃণমূলের সব জেলা সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের উপস্থিতিতে সাত দফার এই কর্মসূচি ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার আগে প্রথম পর্যায়ের এই কর্মসূচি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে যুব পদাধিকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy