প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাব। —ফাইল চিত্র
ফল ব্যবসার আড়ালে টাকা পাচারের অভিযোগ এ বার মহম্মদ সোহরাবের বিরুদ্ধে। গরু পাচারের টাকা এই ফল ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন ভাবে পাচার করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাবের হোটেল ও অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। একইসঙ্গে তাঁর আয় বহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
রেড রোডে গাড়ি দুর্ঘটনায় শিরোনামে আসে মহম্মদ সোহরাবের পুত্রের নাম। সেই সময় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল। এমনকি, বাংলাদেশ যোগও পাওয়া যাচ্ছিল সোহরাবের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চাইছেন, সোহরাব কোনও ভাবে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত কি না। পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে সোহরাবের। সেই টাকার উৎস সন্ধানেও নথিপত্র ঘেঁটে দেখছেন গোয়েন্দারা।
বুধবার ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল মেছুয়াপট্টিতে তাঁর হোটেল এবং অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় দিদিকে ‘টুইট-বাণ’ নেই ধনখড়ের, তবে কি এখন শান্তিপথে
আরও পডু়ন: শুধু মন্ত্রিত্বই নয়, এক মহিলার জন্য সন্তানও ছেড়েছেন শোভন: রত্না
ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে এনামুল এবং বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের জেরা করে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকা ধরেই নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে এই গোটা চক্রের চাঁইদের কাছে পৌঁছতে চাইছেন ইডি, সিবিআই এবং আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, এই চক্রে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার এবং নিচুতলার কর্মীরাও জড়িত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy