সব ঠিক থাকলে আজ, বুধবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছচ্ছে করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা বাগবাজারের স্টোর থেকে সড়ক পথে গোটা উত্তরবঙ্গের জন্য প্রথম দফায় যারা প্রতিষেধক পাবেন তাদের পাঠানো হচ্ছে। থাকছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন স্টোরে তা মজুত থাকবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে উত্তরবঙ্গে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে।
প্রথম দফায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে অন্তত দেড় লক্ষ জন প্রতিষেধক পাবেন। পুরো প্রতিষেধকই একবারে আসছে না বলেই স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে দাবি। ঠিক কত প্রতিষেধক প্রথম দফায় পাঠানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে জানতে পারেননি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে। আপাতত যা ঠিক, তাতে প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য পাঠানো করোনার প্রতিষেধক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের স্টোরে এসে পৌঁছবে। সেখান থেকে গাড়িতে জেলাগুলিতে টিকা যাবে।
দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রতিষেধক নিয়ে গাড়ি রওনা হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে বুধবারই তা পৌঁছবে।’’ সেই মতো সমস্ত আয়োজন হয়েছে। প্রতিষেধকের দেওয়ার প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সংযুক্ত লিউ বলেন, ‘‘সমস্ত ব্যবস্থা প্রস্তুত। কোভিশিল্ড যে প্রতিষেধক প্রথম দফায় দেওয়া হচ্ছে তা ‘ডবল ডোজ’ পাঠানো হচ্ছে। যাঁরা প্রতিষেধক নেবেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার প্রস্তুতিও নিশ্চিত করা হয়েছে।’’ প্রস্তুতি নিয়ে, স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব ভিডিয়ো কনফারেন্সে সমস্ত জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছিলেন উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশান্ত রায়ও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দার্জিলিং জেলায় সাতটি কেন্দ্রে ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলি হল দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল, কার্শিয়াং হাসপাতাল, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ব্লক হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। অন্য জেলায় নির্দিষ্ট কেন্দ্রে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
প্রতিষেধক নিতে যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এখনও নাম নথিভুক্ত করেননি তাদের ফের সুযোগ করে দিয়েছে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার মধ্য রাত পর্যন্ত নাম নথিভুক্তির সময় দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে তা জানানো হয়। আইএমএ-র তরফে শেখর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন যাতে সকলেই নেন সেই জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত ১ হাজার জনের বেশি এদিন নাম নথিভুক্ত করান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy