উদ্বেগ কম করুন
মন শান্ত থাকলে শরীরের মেটাবলিজম হার কমে যায়। ঘুম ঠিক করে হয় না। এমনকি খাবারও হজম হতে দেরি হয়। তাই যতটা পারুন মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে খাওয়ার সময় এবং ঘুমের আগে।
সোজা হয়ে বসুন
আমরা বেশির ভাগ সময় কুঁজো হয়ে বসে থাকি। দীর্ঘ সময় এভাবে বসতে বসতে পেটের পেশিগুলো সেভাবেই ঝুলে যায়। তাই খেয়াল রাখুন, বসার সময় শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে।
ব্যায়াম করার সময় পেট টানটান
অনেকে রোজ মন দিয়ে এক্সারসাইজ করেন। কিন্তু কিছুতেই পেটের মেদ ঝরে না। তার কারণ যে কোনও ব্যায়াম করার সময়ে পেটের পেশিগুলো টানটান রেখে ভিতরের দিকে টেনে ব্যায়াম করতে হবে। না হলে পেটের উপর চাপ পড়বে না।
পেটের ব্যায়াম করুন
শুধু কার্ডিয়ো করলে হবে না। করলে হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিং করতে হবে। তা ছাড়াও পেটের ব্যায়াম করতে হবে। প্ল্যাঙ্ক বা ক্রাঞ্চেস করা প্রয়োজন। শুধু স্পট রিডাকশনে কোনও লাভ হয় না, তা এখন প্রমাণিত। তবে পেটের মাংসপেশিগুলো ট্রেন করে টানটান করার জন্য পেটের ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
যোগে নেই মানা
যোগব্যায়ামেও পেটের মেদ কমানো সম্ভব। ধনুরাসন, ভুজাঙ্গাসন, উস্ত্রাসনের মতো বেশ কিছু আসন আপনাকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
ফাইবার আর গুড ফ্যাট
এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়ে যায়। শাক-সব্জি-ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ। তেল-মশলা কমে খেলেও ডায়েটে গুড ফ্যাট রাখতে হবে। না হলে শরীরে ‘ফ্যাট বার্ন’ হবে না। বাদাম, নাট-বাটারের মতো খাবারে গুড ফ্যাট থাকে। তাই এগুলো রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন।
নুন-চিনি মেপে
নুন যত শরীরে যাবে, ততই শরীর বেশি পরিমাণে জল ধরে রাখবে। এবং তাতেই ভুড়ি আরও ফুলে থাকবে। তাই মেপে নুন খান। কম সোডিয়াম রয়েছে, এই ধরনের নুন কিনতে পারেন। চিনিও চলবে না। রিফাইন্ড চিনি একবার খেলে, তা আমাদের খিদেও বাড়িয়ে দেয়। তাই বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। এই জন্যেই একটা মিষ্টি খেলে আমাদের আরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই চিনি একদম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। মধু, গুড় বা মিষ্টি ফল বিকল্প হিসেবে বেছে নিন।