প্রতীকী ছবি।
এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী গত শুক্রবার পিংলায় মামার বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকে রবিবার দুপুরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, বাড়ির কিছুটা আগেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটির পথ আটকায় স্থানীয় দুই যুবক সঞ্জু নাগ ও শুভদীপ নুদিয়ান। কিশোরীকে তারা কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীটি প্রতিবাদ করলে বাইকে করে তার পিছু নেয় সঞ্জু এবং শুভদীপ। পুলিশ সূত্রের খবর, কিছুটা দূরে তাকে আটকায় দুই যুবক। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি পুকুরের ধারে ঝোপের আড়ালে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পুকুরের ধারে আগে থেকেই মদের আসর বসেছিল। সেই আসরে ছিল সায়ন খাঁড়া, আকাশ সিংহ ও বিশ্বজিৎ খাঁড়া নামে তিন যুবক। সেখানেই কিশোরীকে পাঁচ যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
বিকেল হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে খোঁজখবর শুরু করে কিশোরীর পরিবার। ওই কিশোরীর বাবার কথায়, ‘‘আমরা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় যাই। থানায় থাকাকালীন বাড়ি থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে জানতে পারি, বাড়ির কিছুটা দূরে মেয়েকে সংজ্ঞাহীন, রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ৭৫ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ভাটপাড়ায়, অভিযুক্ত পড়শি
কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, সংজ্ঞা ফেরার পর মেয়ের কাছ সব জেনে ডেবরা থানায় ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন তিনি। রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠিয়ে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করায় পুলিশ। এর পাশাপাশি শুরু হয় তল্লাশি। রাতেই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জু, শুভদীপ, সায়ন, আকাশ ও বিশ্বজিৎকে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি।’’কিশোরীর বাবা বলছেন, ‘‘যারা আমার মেয়ের এই অবস্থা করল তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’’ সোমবার অভিযুক্তদের মেদিনীপুর পকসো আদালতে তোলা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ প্যারেডের আবেদন জানায়। বিচারক জানান, সিজেএম আদালত শনাক্তকরণের দিন ঠিক করবে। অভিযুক্তেরা ততদিন জেল হেফাজতে থাকবে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তেরা দোষ স্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy