প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলায় আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি।
গত ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ৬ অগস্ট তারা একটা রায় দেবে। এই অবস্থায় মামলার সম্ভাব্য ফয়সালা নিয়ে চর্চা চলছে আইনজীবী মহলের একাংশে। বিস্তর আগ্রহ তৈরি হয়েছে আমজনতার মধ্যেও।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরে গেজেট-বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়। তবে যাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও ঘোষণা হয়নি। কারণ বিষয়টি বিচারাধীন। চলতি মাসের মাঝামাঝি পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরেই বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে রাজ্য সরকার। যদি কোনও বোর্ড গঠন করা না-যায়, সেখানে এক জন অফিসার তা দেখাশোনা করবেন বলে স্থির হয়েছে। সোমবারের রায় দেখে সিদ্ধান্ত নেবে পঞ্চায়েত দফতর। এক কর্তার কথায়, ‘‘মামলার রায় দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে বোর্ড গড়তে আমরা প্রস্তুত।’’ পঞ্চায়েতের সদস্যদের প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। কোনও পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি আসনেরও ফয়সালা হয়ে থাকলে সেখানে বোর্ড গড়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: রাতের শোয়ে আগুন প্রিয়া সিনেমা হলে
এই মামলার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য, যুগ্মসচিব শান্তনু মুখোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এখন দিল্লিতে। নির্বাচনে সারা রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৪৮,৬৫০টি আসনের মধ্যে ১৬,৮১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯২১৭টি আসনের মধ্যে ৩০৫৯টি এবং জেলা পরিষদের মোট ৮২৫টি আসনের মধ্যে ২০৩টিতে বিনাযুদ্ধে জিতেছে তারা। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের একটি আসনে এক নির্দল প্রার্থীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy