Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

র‌্যাপিড টেস্টের প্রস্তুতি হাওড়ায়, চলছে বাসিন্দাদের থার্মাল স্ক্রিনিং

হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পুরসভা সূ্ত্রে জানা যাচ্ছে, শুধু শহরেই নয়, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

হাওড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে বাসিন্দাদের মোবাইল হেল্থ স্ক্রিনিং ক্যাম্প।  ছবি: সংগৃহীত

হাওড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে বাসিন্দাদের মোবাইল হেল্থ স্ক্রিনিং ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫৯
Share: Save:

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় হাওড়ার বেশ কিছু এলাকায় খুব শীঘ্রই ‘র‌্যাপিড টেস্ট’ শুরু হতে চলেছে। তার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। হাতে কিট এলেই শুরু হয়ে যাবে ‘র‌্যাপিড টেস্টি’। তার আগে এলাকাবাসীর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নিতে শুরু করল হাওড়া পুরসভা। মোবাইল ভ্যানে ঘুরে ঘুরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রাও মাপছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সঙ্গে কারও জ্বর, সর্দি, কাশি অথবা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হটস্পটের তালিকায় নাম উঠেছে এ রাজ্যের হাওড়া জেলারও। অবশ্য তার কয়েক দিন আগে থেকেই হাওড়ার কয়েকটি এলাকাকে কার্যত নজরবন্দি করে ফেলেছে পুলিশ-প্রশাসন। এ বার ওই এলাকার বাসিন্দাদের ‘র‌্যাপিড টেস্টি’-এর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাওড়ার অবস্থা স্পর্শকাতর, পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে”।

বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, করোনা-আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ থাক বা না থাক, তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে ক্লাস্টার এবং স্পর্শকাতর এলাকাতেও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের জন্য অপেক্ষায় এলাকাবাসীরা।

হাওড়ার গোলাবাড়ি, সালকিয়া, হরগঞ্জবাজার, শিবপুর, অরবিন্দ রোড, কালীবাবু বাজার হাওড়া ময়দান এলাকার একাংশ, ধুলাগড়ের উত্তর মল্লিকপাড়া সহ আরও কিছু এলাকায় পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। তবে হাওড়ার ঠিক কোনও এলাকাগুলিকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পুরসভা সূ্ত্রে জানা যাচ্ছে, শুধু শহরেই নয়, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। স্পর্শকাতর এলাকায় ‘র‌্যাপিড টেস্ট’-এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। এই বিশেষ দলই এলাকায় গিয়ে ‘র‌্যাপিড টেস্ট’-এর কাজ চালাবেন।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়াল, মৃত বেড়ে ৪৩৭

আরও পড়ুন: সিসিইউ-কাণ্ডের এগারো দিন পর এনআরএসের নার্স করোনা আক্রান্ত

করোনা আবহের মধ্যে হাওড়া জেলা হাসপাতাল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তিন বার বদল হয়েছে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ)। কোনও রকমে জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও, শুক্রবার তা-ও বন্ধ হয়ে হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতাল খোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে তাঁর আগে গোটা হাসপাতালকেই জীবাণুমুক্ত করা হবে। ওই হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক, নার্স, হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE